প্রথম টেস্টে প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর হারা পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্টে চরম বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। কেপটাউন টেস্টে দ্বিতীয় দিন শেষে দলটি রান পাহাড়ের নিচে চাপা পড়েছে। শুধু তাই নয়, ব্যাটিংয়ে বিপর্যয়েরও মুখে পড়েছে। রায়ান রিকেলটন (২৫৯), টেম্বা বাভুমা (১০৬) ও কাইল ভেরেনির ১০০ রানের সুবাদে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংস ৬১৫ রানে শেষ হয়। জবাবে দিন শেষে পাকিস্তান ৬৪ রান করলেও হারিয়েছে তিন উইকেট। ফলে ৫৫১ রানে পিছিয়ে তারা।
এমনিতে ইনজুরির কারণে সাইম আইয়ুবের ব্যাটিং করা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। তার ওপর টপ অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতা পাকিস্তানের সামনে ফলো অনের শঙ্কা জোরালো হয়ে উঠেছে। সাইম আইয়ুবের ব্যাটিং নিয়ে শঙ্কা থাকায় ফলো অন করাতে দক্ষিণ আফ্রিকার আর মাত্র ছয়টি উইকেট দরকার।
কেপটাউন টেস্টে পাকিস্তানকে রান পাহাড়ের নিচে চাপা দেওয়ার মূল কৃতিত্ব রিকেলটনের। ২৫৯ রান করা এ ব্যাটার এক কীর্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। নিউল্যান্ডে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান ২৬২। স্টিফেন ফ্লেমিং করেছিলেন এ রান। রিকেলটনের সামনে সেই কীর্তি নিজের করার সুযোগ আসলেও তা পারেননি। ভেরেনি পেয়েছেন তার চতুর্থ টেস্ট সেঞ্চুরি। তবে তরতর করে রান বাড়িয়েছেন ২০২৪ সালে ব্যাট-বলে ব্যর্থ মার্কো ইয়ানসেন। মাত্র ৫৪ বলে ৬২ রান করেন তিনি। আট বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারি মেরেছিলেন ইয়ানসেন।
পাকিস্তানের মোহাম্মদ আব্বাস ও সালমান আগা তিনটি করে উইকেট পান। মির হামজা ও খুররাম শাহজাদা দুইবার করে উইকেট শিকারের আনন্দ করেন।
বিশাল রানে চাপে পড়া পাকিস্তান শুরুতেই ভেঙ্গে পড়ে। অধিনায়ক শন মাসুদ মাত্র ২ রান করে আউট হন। কিছু সময় পর তাকে অনুসরণ করেন কামরান গুলাম (১২)। সৌদ শাকিল রানের খাতা খুলতেই পারেননি। মাত্র ২০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় পাকিস্তান। বাবর আজম ৩১ রানে অপরাজিত। সঙ্গে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান। ৯ রান তার।
কাগিসো রাবাদা নিয়েছেন দুই উইকেট। এক উইকেট মার্কো ইয়ানসেনের।