গেলো বছরটা একেবারেই ভালো কাটেনি পাকিস্তান দলের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজমের। টেস্ট ক্রিকেটে একটাও হাফসেঞ্চুরি করতে পারেননি তিনি। সব মিলিয়ে টেস্টের সর্বশেষ ১১ ইনিংসে তাঁর ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংসটা মাত্র ৪১ রানের। অধিনায়কত্বটাও হারিয়েছেন গত বছরেই। এই পরিস্থিতিতে নতুন বছরে তিনি কেমন পারফর্ম করবেন সেদিকেই চোখ ছিলো ক্রিকেটপ্রেমীদের।
গত বছরের পুরোটা সময় ধরেই ব্যাট-বলে যুদ্ধ করেও নিজের চেনা রূপে ফিরতে না পারা বাবর আজও নিজেকে তুলে ধরতে পারেননি। পাকিস্তানের লজ্জা এড়ানোর ম্যাচে অবশ্য দলীয় চার রানের মাথায় দুই ওপেনারের বিদায়ের পর দলকে কিছুটা সামনে এগিয়ে নেন তিনি। তবে ৪০ বলে ২৬ রান করে প্যাট কামিন্সের বলে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন বাবর।
লাল বলে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাবরের ব্যাটিং গড় খুব একটা এমনিতেই ভালো নয়। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি ২৪.১৫ ব্যাটিং গড়ে রান করেন। মোটের উপর ৫১টি টেস্ট ম্যাচে তিনি ৪৬.৩৭ ব্যাটিং গড়ে রান করেছেন।
গত বছরে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত এশিয়া কাপ থেকেই বাবর আজমের ব্যাটিং ফর্ম আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে। ভারতে হওয়া একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপেও তিনি স্পিন বোলিংয়ের বিরুদ্ধে খেলতে যথেষ্ট চাপে পড়েছিলেন। পাশাপাশি তাঁর অধিনায়কত্ব নিয়েও উঠেছিল একাধিক প্রশ্ন। শেষপর্যন্ত ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটেই তিনি অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। আশা করা হচ্ছে, এবার হয়ত তিনি আবার নিজের পুরনো ফর্মে ফিরতে পারবেন।
২০২৩ সালে বাবর আজম একাধিক প্রতিবন্ধকতার শিকার হলেও, তাঁর সমর্থকেরা প্রিয় ক্রিকেটারকে সেই পুরনো ফর্মে দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আবারও সেরার সেরা তকমা পেতে মরিয়া সম্রাট বাবর। নতুন বছরে বাবরের ক্যারিয়ারে নয়া সূর্যোদয়ের অপেক্ষা করছেন তাঁর ভক্তরা।