ঢাকার ক্লাব ক্রিকেটের ভবিষ্যত এখনও অনিশ্চিত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিসিবি ও সমমনা ক্লাবগুলোর মধ্যে দূরত্ব দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে লিগ আয়োজনের সম্ভাবনা সীমিত হয়ে পড়েছে। ৪৩টি সমমনা ক্লাব একত্রিত হয়ে লিগ বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল খেলায় অংশগ্রহণের পক্ষে।
নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে তামিম আগেও জানিয়েছেন, ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের স্বার্থে ক্লাবগুলোর লিগে অংশ নেওয়া উচিত। তবে তার দ্বৈত ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিসিবির মনে হচ্ছে, সমমনা ক্লাবের মধ্যে ফাটল ধরেছে। মঙ্গলবার ক্লাবের সংবাদ সম্মেলনে মোহামেডানের ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুজ্জামান বলেন, ‘তামিম খেলোয়াড়দের পক্ষে থাকলেও আমাদের সঙ্গে আছে। তবে এই বোর্ডকেও সে অবৈধ বলছে।’
ঢাকা লিগের বেশির ভাগ ক্লাব বয়কট ঘোষণা করায় বিসিবি প্রথম বিভাগ দিয়ে মৌসুম শুরু করার উদ্যোগ নিয়েছে। তিনবার পিছিয়ে ১১ ডিসেম্বর থেকে লিগ শুরু করার সিদ্ধান্ত দিয়েছে ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ। ক্লাবগুলোর বিরোধ মিটিয়ে একত্রিত করার জন্য ২৯ নভেম্বর ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে চা চক্রের আয়োজন করেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল। কিন্তু সেখানে ৪৫টি ক্লাবের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না। বিসিবি সভাপতির বক্তব্য অনুযায়ী মোহামেডান ক্লাবের সভাপতি লিগে খেলার সম্মতি দিয়েছেন, তবে এক দিন পরই মোহামেডান ক্লাব বিজ্ঞপ্তিতে তা অস্বীকার করে।
এদিকে, সমমনা ক্লাবগুলো নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে সংবাদ সম্মেলন করেছে। আবাহনী ক্লাবের কর্মকর্তা শেখ বশির আল মামুন বলেন, ‘বিসিবি চাইলে খেলা হবে না। আমরা খেলোয়াড়দের পক্ষে লড়াই করছি, তাদের জন্য সুন্দর পরিবেশ তৈরিই আমাদের লক্ষ্য।’
সূর্যতরুণ ক্লাবের কর্মকর্তা ও বিসিবির সাবেক পরিচালক ফাহিম সিনহা জানান, ‘আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। ক্রিকেটের স্বার্থে ৪৩ থেকে ৪৫টি ক্লাব একত্রিত। তামিম ইকবালও আমাদের সঙ্গে ছিলেন এবং আছেন।’
এই পরিস্থিতি প্রমাণ করে, ঢাকা ক্লাব ক্রিকেটের ভবিষ্যত পুরোপুরি বিসিবির নিয়ন্ত্রণে নয়। খেলোয়াড় ও ক্লাবের স্বার্থে সমঝোতার পথই এখন একমাত্র সমাধান।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















