গ্রিভসের ডাবল সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের অবিস্মরণীয় ড্র!

ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের পঞ্চম দিনের সূর্য উঠেছিল নিউজিল্যান্ডের জয়ের আশায়, কিন্তু তা ডুবে গেল গ্রিভস- হোপের জেদের সামনে।

ক্রাইস্টচার্চে নতুন দিনে সবাই ভেবেছিল ইতিহাসের পাতায় আরেকটি সহজ জয় যোগ করবে নিউজিল্যান্ড। ৫৩১ রানের মহালক্ষ্য তাড়া করা টেস্ট ইতিহাসেই দুরূহ। কিন্তু ক্রিকেট কখনো কেবল অঙ্কে বাঁধা থাকে না। শেষ দিনে সে অঙ্ককে পাল্টে দিলেন শাই হোপ ও জাস্টিন গ্রিভস। উইকেটের ওপর দাঁড়িয়ে তাঁরা প্রমাণ করলেন, টেস্ট ক্রিকেটে লড়াই মানে শুধু রান নয়, ধৈর্য আর ইচ্ছাশক্তির যুদ্ধও।

নিউজিল্যান্ডের দেয়া ৫৩১ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে নেমে শুরুটা ভালো ছিল না ক্যারিবীয়দের। তবে হোপ ও গ্রিভসের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ভর করে ধীরে ধীরে ম্যাচে ফেরে সফরকারীরা। শেষ দিনে সেঞ্চুরি তুলে আউট হন হোপ। আর গ্রিভস তো খেললেন ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরির জাদুকরী ইনিংস। ২০২ রানে অপরাজিত থেকে দলকে রোমাঞ্চকর ড্র উপহার দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৬৩.৩ ওভারে ৬ উইকেটে ৪৫৭ রান তুলে ম্যাচ বাঁচায় উইন্ডিজ।

এর আগে টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠান রোস্টন চেজ। প্রথম ইনিংসে ২৩১ রান করে কিউইরা। জবাবে মাত্র ১৬৭ রানে অলআউট হয় ক্যারিবীয়রা, ফলে ৬৪ রানের লিড পায় টম ল্যাথামের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৮ উইকেটে ৪৬৬ রানে ইনিংস ঘোষণা করলে ওয়েস্ট-ইন্ডিজের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৫৩১।

চতুর্থ দিনের খেলার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ২১২-৪। পঞ্চম দিনে আরও ২৪৫ রান তোলে উইন্ডিজ। পঞ্চম উইকেটে হোপ-গ্রিভস জুটি গড়ে ১৯৬ রান, সপ্তম উইকেটে অপরাজিত গ্রিভস ও রোচ যোগ করেন আরও ১৮০।

গ্রিভস ৩৮৮ বলে ২০২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন। তার ব্যাটে আসে ১৯টি চার। হোপ খেলেন ২৩৩ বলে ১৪০ রানের ইনিংস, যেখানে ছিল ১৫ চার ও ২ ছক্কা। রোচ অপরাজিত থাকেন ২৩৩ বলে ৫৮ রানে।

নিউজিল্যান্ডের হয়ে দুই ইনিংসে মোট ৮ উইকেট নেন জ্যাকব ডাফি। ক্যারিবীয়দের হয়ে দুই ইনিংস মিলিয়ে ৭ উইকেট পান রোচ।

শেষ পর্যন্ত জয় না পেলেও লড়াইটা যে স্মরণীয় হয়ে রইল, সেটাই হয়তো এই টেস্টের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

Exit mobile version