বাংলাদেশ দলের ফিটনেস কোচ হিসেবে দুই বছরের চুক্তিতে দায়িত্ব নিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ান নাথান কেলি। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার ছয় মাস আগেই দায়িত্ব ছাড়লেন তিনি। পারিবারিক কারণেই বিসিবির সঙ্গে পথ আলাদা করলেন কেলি।
কেলির সময়ে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস ব্যবস্থায় এসেছে বেশ কিছু পরিবর্তন। প্রচলিত ইয়ো ইয়ো টেস্ট বা বিপ টেস্টের বদলে তিনি চালু করেছিলেন ‘টাইম ট্রায়াল’ পদ্ধতি। এই নতুন ফিটনেস মডেলে শান্ত, রিশাদ, তানজিমদের পারফরম্যান্সও ছিল প্রশংসনীয়।
গত বছরের এপ্রিল মাসে বিসিবির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন কেলি। তাঁর উদ্যোগে দলের ফিটনেস মূল্যায়নের ধরন বদলে যায়, যা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল ক্রিকেট অঙ্গনজুড়ে। তবে পরিবারের কাছে সময় দিতে গিয়ে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
গত ২৪ সেপ্টেম্বর বাবা হয়েছেন নাথান কেলি। সন্তান জন্মের সময় স্ত্রী ও পরিবারের পাশে থাকতে এশিয়া কাপ চলাকালে ছুটি নেন তিনি। এরপর আর দলের সঙ্গে ফেরেননি। বর্তমানে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে অন্তর্বর্তীকালীন ফিটনেস কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ইফতেখার ইফতি।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শিগগিরই নতুন ফিটনেস ট্রেনার নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
