ছোটদের এশিয়া কাপে বাংলাদেশই সেরা

বাংলাদেশের কাছেই পাত্তাই পেলোনা পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে উঠে আসা সংযুক্ত আরব আমিরাত। ১৯৫ রানের বিশাল জয়ে শিরোপা নিজেদের করে নিলো বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনার আশিকুর রহমান শিবলির ১২৯ রানের ওপর ভর করে ৮ উইকেটে ২৮২ রানের বড় সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ। জবাবে, ২৪ ওভার পাঁচ বলে মাত্র ৮৭ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

পাঁচ বছর আগেই উৎসবটা করতে পারতো যুবারা। সে সময় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে শেষ বলে হেরে শিরোপার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল বাংলাদেশের যুবাদের। এবার সেই স্টেডিয়ামেই ইতিহাস লিখল নতুন প্রজন্মের যুবারা।

২০২০ সালে যুব বিশ্বকাপের পর আরও একবার বাংলাদেশের ক্রিকেটে বড় সাফল্য এল যুবাদের হাত ধরে। এবার এশিয়া মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল।

জয়টা বাংলাদেশের প্রত্যাশিত ছিল। তবে এতটা সহজে আসবে তা হয়তো কেউ ভাবেনি। গ্রুপপর্বেও আরব আমিরাতের বিপক্ষে ৬০ রানে বড় জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে হারিয়েছে টুর্নামেন্টে রেকর্ড আটবারের শিরোপাজয়ী ভারতকে।

আসরজুড়ে অপরাজিত থেকে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল জুনিয়র টাইগাররা।  একপেশে ফাইনালে কোনো সুযোগই তারা দেয়নি প্রতিপক্ষ আরব আমিরাতকে।

শুরুতে ছিল আশিকুর রহমান শিবলীর ১২৯ রানের ম্যারাথন এক ইনিংস। তাকে সঙ্গ দিয়েছিলেন চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং আরিফুল ইসলাম। একজনের রান ৬০, আরেকজন করেছেন ৫০।

এরপর বল হাতে গতি আর সুইংয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেছেন রোহানাত দৌলা বর্ষণ-মারুফ মৃধারা। বর্ষণ নিয়েছেন তিন উইকেট। দুই উইকেট নিয়ে জয়ের মিছিলে শামিল হয়েছেন আরেক পেসার ইকবাল হোসাইন ইমন।

২৮৩ রানের লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে কোনো পর্যায়েই সুবিধা করতে পারেনি আরব আমিরাতের ছেলেরা। ইনিংসের প্রথম বলটা চার মেরে শুরু করলেও টাইগার পেসারদের সামনে অসহায় হয়েই থাকতে হয়েছে তাদের।

অর্জুন শর্মাকে সাজঘরে ফেরান এই টুর্নামেন্টে তারকা হয়ে ওঠা পেসার মারুফ মৃধা। দলের রান তখন ১২। দলীয় ২৮ রানের সময় আবারও তার আঘাত। এবার ফিরলেন অক্ষত রাই।

বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন মারুফ ও বর্ষণ। এছাড়া দুটি করে উইকেট ভাগ করে নিয়েছেন ইকবাল ও জীবন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

টস: আরব আমিরাত।

বাংলাদেশ: ২৮২/৮ (শিবলি ১২৯, ‍রিজওয়ান ৬০ ও আরিফ ৫০), আরব আমিরাত: ৮৭/১০ (২৪.৫ ওভার)

Exit mobile version