টানা দ্বিতীয়বারের মতো এনসিএল টি-টোয়েন্টির মুকুট উঠল রংপুর বিভাগের মাথায়। আকবর আলীর নেতৃত্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে শিরোপা ধরে রাখল তারা। তবে শিরোপা জয়ের আনন্দেও আক্ষেপ নয়, বাস্তবতাকেই বেছে নিয়েছেন অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপজয়ী এই অধিনায়ক।
যে দলের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন, সেই দলের অনেকেই এখন জাতীয় দলে— শরিফুল ইসলাম, শামীম পাটোয়ারী, তৌহিদ হৃদয়দের মতো সতীর্থরা নিয়মিতই খেলছেন আন্তর্জাতিক মঞ্চে। অথচ আকবর আলী এখনো অপেক্ষায়। এ নিয়ে কষ্ট হয় না? প্রশ্ন শুনে হেসে উত্তর দিলেন তিনি,
“একজন পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে ওভাবে ভাবলে চলবে না। আমি ভালো খেললে ভালো লাগে, খারাপ করলে খারাপ লাগে—এই পর্যন্ত। কিন্তু এমন না যে ওরা খেলছে, আমি খেলতে পারছি না, এটা নিয়ে খারাপ লাগে। বরং নিজের পারফরম্যান্স খারাপ হলে তখনই বেশি কষ্ট হয়।”
তিনি আরও যোগ করেন,
“আমি এসব নিয়ে খুব বেশি ভাবি না। যেখানে সুযোগ পাই, মাঠে নেমেই নিজের সেরাটা দিতে চেষ্টা করি।”
ফাইনালে রংপুরের জয়ের নেপথ্যে মূল ভূমিকা ছিল স্পিনারদের— এমনটাই জানালেন আকবর।
“আমরা জানতাম খেলা শুরু হবে বিকেল ৫টার দিকে, আর অল্প সময়ের মধ্যেই কুয়াশা পড়বে। তাই টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলাম। পরিকল্পনা ছিল, যত দ্রুত সম্ভব স্পিনারদের ওভার শেষ করাতে হবে, যেন কুয়াশা নামার আগেই তারা কাজে লাগাতে পারে। আমাদের স্পিনাররা দারুণভাবে সেটা এক্সিকিউট করেছে,” বলেন রংপুর অধিনায়ক।
তবে সিলেটের মাঠে দর্শক উপস্থিতি কম হওয়ায় খানিকটা হতাশ তিনি,
“সিলেটে হয়তো তেমন দর্শক পাইনি, কিন্তু রাজশাহী বা বগুড়ায় ম্যাচ হলে হাজার হাজার মানুষ মাঠে আসত— এটা আমি নিশ্চিতভাবে বলতে পারি। কারণ, বগুড়ায় টিকিটের জন্য যে লম্বা লাইন দেখেছি, তা ছিল অবিশ্বাস্য।”
রংপুরের শিরোপা ধরে রাখার গল্পে যেমন আছে ক্রিকেটীয় কৌশল, তেমনি আছে এক তরুণ নেতার শান্ত অথচ দৃঢ় মানসিকতার প্রতিফলন— যিনি জাতীয় দলের জার্সি না পেলেও মাঠে নিজের সেরাটা দিতে কখনো থেমে যাননি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















