জাদরান-দীপুর ব্যাটে মাশরাফির সিলেটকে হারালো চট্টগ্রাম

নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেটে সিলেটের করা ১৭৭ রানের জবাবে ৯ বল হাতে রেখেই তিন উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান তুলে নেয় চট্টগ্রাম।

মাশরাফি খেলবেন কি না এমন একটা শংকা ছিলো এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, বিপিএলকে ঘিরে। শেষ পর্যন্ত মাশরাফি নামলেন। তাঁর দলও পেলো বড় স্কোর। বলহাতে নিজের প্রথম বলেই উইকেট নিলেন মাশরাফি। কিন্তু ৭ উইকেটে হেরে গেলো সিলেট।

মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে, দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয় সিলেট স্ট্রাইকার্স ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। টস জিতে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানায় চট্টগ্রাম।

দেশীয় দুই ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোহাম্মদ মিথুনের ব্যাটে ৬৭ রানের উদ্বোধনী জুটি পায় মাশরাফির দল। নবম ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৬ রান করা শান্তর আউটের পর দলটা তাদের দ্বিতীয় ‍উইকেট হারায় দলীয় ৯৫ রানে। ব্যক্তিগত ৪০ রানে ফেরেন আরেক ওপেনার কাম উইকেটরক্ষক মোহাম্মদ মিথুন।

পরে আর কোন উইকেট না হারিয়ে দলীয় সংগ্রহকে ১৭৭ এ নিয়ে যান জাকির হাসান ও আইরিশ অলরাউন্ডার হ্যারি টেক্টর। ৪৩ বলে ৭০ রানের পথে জাকির ৭ বাউন্ডারির সাথে একটি ছক্কাও হাকান। আর টেক্টর করেন ২০ বলে ২৬ রান।

১৭৮ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১৪ রানে বিদায় নেন ২ রান করা ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম।

দলীয় ৫৭ ও ৫৯ রানে পর পর দুই ওভারে আউট হন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটার আভিস্কা ফার্নান্দো ও উইকেটরক্ষক ব্যটার ইমরানুজ্জামান। মাশরাফি তার প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন। স্টেডিয়ামে উপস্থিত হাজার খানেক দর্শক এই সময় উল্লাসে মাতেন।

৫৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর চট্টগ্রামের দীপু ও জাদরান আর কোন বিপদ হতে দেননি। ১২১ রানের জুটি গড়ে দলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন তারা। ৩০ বলে ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন জাদরান। দিপুও কম যাননি। তার ৫৭ রান এসেছে ৩৯ বল থেকে।

Exit mobile version