জিম্বাবুয়েকে হতাশ করে ফাইনালে পাকিস্তানের সঙ্গী শ্রীলঙ্কা

টি-টোয়েন্টি সিরিজ

দুশমান্থা চামিরা চমৎকার বোলিং করে হয়েছেন ম্যাচসেরা

আগের ওভারগুলোতে ওভার প্রতি ১০ রান বেশি করে তুলেছে পাকিস্তান। শেষ ওভারে তাদের দরকার ছিল ১০ রান। কিন্তু দুশমান্থা চামিরা এমন বোলিং করলেন যে, পাকিস্তানের পক্ষে ৩ রানের বেশি নেওয়া সম্ভব হলো না। ফলে নিজ দেশে চলমান টি-টোয়েন্টি সিরিজে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জয় পাওয়া হলো না স্বাগতিকদের। ৬ রানে হেরেছে তারা। অন্যদিকে টানটান উত্তেজনার ম্যাচে জয় পেয়ে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে ফাইনালে। শনিবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে ম্যাচে তারা পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে। অন্যদিকে শেষ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষায় জিম্বাবুয়েকে বিদায় নিতে হয়েছে।

পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের শেষ ওভারের আগ পর্যন্ত ফাইনালের স্বপ্নে বিভোর ছিল সিরিজের অপর দল জিম্বাবুয়ে। পাকিস্তান জিতলেই তাদের সঙ্গী হতো জিম্বাবুয়ে। কিন্তু পাকিস্তান হেরে যাওয়ায় ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ হয়েছে শ্রীলঙ্কা।

টস হারের পর ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কা দারুণ দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। বিশেষ করে দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কামিল মিশারা ও কুশাল মেন্ডিস চমৎকার ব্যাটিং করেছেন। তাদের দায়িত্বশীল ও আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে শ্রীলঙ্কার রান বেড়েছে দ্রুত গতিতে। মাত্র ৪৮ বলে মিশারা ৭৬ রান করেন। আর মেন্ডিস করেছেন ২৩ বলে ৪০ রান। শেষ দিকে জানিথ লিয়াঙ্গের ২৪ আর অধিনায়ক দাসুন শানাকার ১০ বলে ১৭ রান শ্রীলঙ্কাকে নির্ভরযোগ্য স্থানে পৌঁছে দেয়।

ব্যাট হাতে পাকিস্তানের শুরুটা ছিল বেশ নাজুক। ৪৩ রান হতেই চার ব্যাটার মাঠ থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। সাহিবজাদা ফারহান (৯), সাইম আইয়ুব (২৭), বাবর আজম (০) ও ফখর জামান (১) বিদায় নিলে পাকিস্তান বেশ চাপে পড়ে যায়। হারটা তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়। পাকিস্তানের এই চার উইকেটের তিনটিই শিকার করেন দুশমান্থা চামিরা । দুই ওভারে তিন উইকেট।

তবে হালছাড়ার পাত্র ছিলেন না অধিনায়ক সালমান আগা। উসমান খানকে নিয়ে দারুণ এক লড়াই দিয়েছেন। ২৩ বলে ৩৩ রান করেন উসমান খান। মোহাম্মদ নাওয়াজও দারুণ লড়েছেন। ১৬ বলে ২৭ রান করে তিনি পাকিস্তানকে লড়াইয়ের ট্রাকে ফিরে আনেন। তবে দূর্ভাগ্য তার। ম্যাচটা শেষ করে যেতে পারেননি। দুর্ভাগ্য সালমান আগারও। অপর প্রান্তে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখতে হয়েছে দলের হার। ৪৪ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

দুশমান্থা চামিরা চমৎকার বোলিং করে হয়েছেন ম্যাচসেরা। চার ওভারে নিয়েছেন ৪ উইকেট, খরচ ২০ রান। তার করা শেষ ওভারটাই পাকিস্তানকে শেষ হাসি হাসতে দেয়নি।

Exit mobile version