আফগানদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে সমতায় ফিরতে দারুণ বোলিং করেছে বাংলাদেশের স্পিনাররা। আবু ধাবিতে মিরাজ-রিশাদদের বিষাক্ত স্পিনে ৪৪.৫ ওভারে ১৯০ রানে গুটিয়ে গেছে আফগানিস্তান। এ দিন টস হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা বাংলাদেশ পাওয়ার প্লেতে আফগানিস্তানের দুই উইকেট তুলে নেয়।
ইনিংসের পঞ্চম ওভারে ওপেনার রাহমানউল্লাহ গুরবারজকে ১১ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নবম ওভারে বোলিংয়ে এসে সেদিকউল্লাহ আতাল ৮ রানে ফেরান তানভির। ওয়ানডাউনে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ রান করে সাকিবের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। ৯ ওভারে আফগানিস্তান তোলে ২ উইকেটে ৪২।
এরপর ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান এক প্রান্ত আগলে রাখলেও আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় আফগানরা। রহমত শাহ ৯ রান করে চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন। অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শাহিদি ৪ ও আজমতউল্লাহ ওমারজাই শূণ্য রানে বিদায় নেন।
তবে দলের বিপদে একাই লড়াই করেন ইব্রাহিম। তিনি ৭০ বলে দুই চার ও এক ছক্কায় ওয়ানডে ক্যারিয়ারের অষ্টম ফিফটিতে পা রাখেন ইব্রাহিম। তখন রান রেট নেমে যায় চারের নিচে।
এক প্রান্তে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান টিকে থাকলেও অন্যদের ব্যর্থতায় বড় কোনো জুটি গড়ে তুলতে পারেনি তারা। দলের ব্যাটিং বিপর্যয়ে মোহাম্মদ নাবিকে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন ইব্রাহিম। এরপর আক্রমণে ফিরে ফের উইকেট তুলে নেন পেসার তানজিম হাসান।
ডানহাতি এই পেসারে বলে মোহাম্মদ নবি ২২ রান করে ক্যাচ দেন মেহেদী হাসান মিরাজের হাতে। ফলে ভাঙে ৬৩ বল স্থায়ী ৩৯ রানের জুটি। ২৯.১ ওভারে আফগানদের রান তখন ৬ উইকেটে ১৫৪। এবার ক্রিজে ইব্রাহিম জাদরানের সঙ্গী নানগেয়ালিয়া খারোটে। তবে ১৩ রানের বেশি করতে পারেনি খারোটে। রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি।
এরপর আফগান শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নবম ব্যাটার হিসেবে উইকেটে আসা রশিদকে ১ রানে ফিরিয়ে দেন মিরাজ। নিজের পরের ওভারে সেঞ্চুরির আগেই ইব্রাহিমকে ফেরান বাংলাদেশ অধিনায়ক। ভাঙে ৩৮ বলে ৩৯ রানের জুটি। ইব্রাহিম আফগানদের পক্ষে সর্বোচ্চ ৯৫ রান করেন। তার ১৪০ বলের ইনিংসে ছিলো তিন চার ও এক ছক্কা। শেষ দিকে এএম গাজানফার ১৮ বলে ২২ রান করেন।
বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ১০ ওভারে ৪২রানে তিনটি এছাড়া তানজিম ও রিশাদ নেন দুটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
আফগানিস্তান: ৪৪.৫ ওভারে ১৯০/১০
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















