আজই মাঠে গড়িয়েছে আবুধাবি টি-টেন আসর। প্রথম দিনেই জয় ও পরাজয়ের দুটি অভিজ্ঞতাই হয়েছে বাংলাদেশী পেসার তাসকিন আহমেদের। উদ্বোধনী ম্যাচে তার দল নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স ৫১ রানে হেরে যায় কুয়েটা ক্যাভালরির কাছে। কিন্তু একই দিন দ্বিতীয় ম্যাচে তাসকিন মুখোমুখি হন স্বদেশী সতীর্থ সাইফ হাসানের দল অ্যাসপিন স্ট্যালিয়ন্সের। জমজমাট লড়াইয়ে ৪ রানের জয় পান তাসকিনরা। প্রথম ম্যাচে তাসকিন উইকেটশুন্য থাকলেও পরের ম্যাচে ২টি শিকার করেন। আর ব্যাটে-বলে চরম ব্যর্থ হয়েছেন সাইফ।
টি-টেন আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে কুয়েটা ক্যাভালরি ১০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৩ রান তোলে। ৬.৩ ওভারে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারায় তারা। কিন্তু খাজা নাফে ১২ বলে ২ চার, ৫ ছক্কায় ঝড়ো ৪৫ ও জ্যাসন হোল্ডার ১০ বলে ১ চার, ২ ছয়ে ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। তাই বাকি ৩.৩ ওভারে হয়েছে ৬৮ রান। তাসকিন ২ ওভারে ২৩ রান দিয়ে উইকেটশুন্য থাকেন। ট্রেন্ট বোল্ড ২ ওভারে ২০ রানে ২ উইকেট নেন।
পরে তাসকিনের দল নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স ১০ ওভারে ২ উইকেটে ৮২ রান করতে পেরেছে। কলিন মুনরো ২৮ বলে ২ চার, ২ ছয়ে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন। সন্ধ্যায় নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে অবশ্য অ্যাসপিন স্ট্যালিয়ন্সের বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ১০ ওভারে ১ উইকেটে ১১৪ রান করে ওয়ারিয়র্স। জনসন চার্লস ৩৪ বলে ৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৫৫ এবং কলিন মুনরো ২১ বলে ২ চার, ২ ছয়ে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন।
ইনিংসের ৭ম ওভারে বোলিং করতে এসে সাইফ হাসান ২ ছক্কা হজম করে ১৭ রান খরচা করেন। জবাব দিতে নেমে অ্যাসপিন স্ট্যালিয়ন্স ১০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান করতে পেরেছে। ৯ম ওভারে বোলিংয়ে এসে তাসকিন ১২ রান দিয়ে আভিস্কা ফার্নান্দোর উইকেট নেন। আভিস্কা ২০ বলে ২ চার, ২ ছয়ে ৩৩ রান করেন। এর আগেই তাসকিন ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৯ রান দিয়ে আন্দ্রে ফ্লেচারকে বোল্ড করেন।
সাইফ বল হাতে ব্যর্থতার পর পাঁচে নেমে ব্যাট হাতেও ভালো করেননি। ১১ বলে ১ ছক্কায় ১৫ রানেই আউট হয়েছেন শেষ ওভারে। ওই ওভারে জয়ের জন্য মাত্র ৮ রান দরকার ছিল। সাইফের পর টাইমাইল মিলসকেও বোল্ড করে দেন শাহনাওয়াজ দাহানি। শেষ বলে রানআউট হন হরভজন সিং।
১০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১০ রান করতে পেরেছে স্ট্যালিয়ন্স। তাসকিন ২ ওভারে ২১ ও দাহানি মাত্র ১০ রান দিয়ে ২টি করে উইকেট নেন।
