১৯৮৭ সালের ১৫ থেকে ১৯ মার্চ মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার প্রথম টেস্ট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হওয়ার পর ১১ থেকে ১৪ জুন লর্ডসে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়ন শিপের ফাইনালটি ছিলো দুই হাজার পাঁচশত ৮৫তম টেস্ট। এর মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে মাত্র ১০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে অনন্য এক রেকর্ডের মালিক হয়ে গেলেন টেম্বা বাভুমা। বাভুমাই একমাত্র অধিনায়ক যিনি প্রথম ১০ টেস্টের সবগুলোতেই অপরাজিত এবং জয় পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৯টি।
প্রথম ১০ টেস্টে সর্বোচ্চ ৯ জয় পেলেও ইংল্যান্ডের অধিনায়ক পার্সি চাপম্যান অন্য ম্যাচটি হেরে যান। ফলে বাভুমাই একমাত্র অধিনায়ক যিনি প্রথম ১০ টেস্টেই অপরাজিত থাকার পাশাপাশি পেয়েছেন ৯টি জয়। ১৯২০-২১ সালে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ওয়ারউইক আর্মস্ট্রং ৮ জয় ও ২ টেস্টে ড্র করেছিলেন ফলে, জয়ের হিসাবে তিনিও পিছিয়ে আছেন বাভুমার চেয়ে।
টেস্ট ক্রিকেটে গত ১০৪ বছরের ইতিহাসে টেম্বাই প্রথম অধিনায়ক যিনি প্রথম ১০ টেস্টে নেতৃত্ব দিয়ে অপরাজিত আছেন এবং পেয়েছেন সর্বোচ্চ জয়।
অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১০ টেস্টের মধ্যে ৮টি করে জয়ের রেকর্ড আছে আর্মস্ট্রংসহ ৬ জনের। বাকিরা হচ্ছেন– ডগলাস জার্ডিন (ইংল্যান্ড), লিন্ডসে হাসেট (অস্ট্রেলিয়া), ওয়াকার ইউনিস (পাকিস্তান), রিকি পন্টিং (অস্ট্রেলিয়া) ও বেন স্টোকস (ইংল্যান্ড)।
সব মিলিয়ে এতোদিন আলোচনার বাইরে থাকা টেম্বা বাভুমাই হয়ে গেলেন অনন্য এক রেকর্ডের মালিক। যেখানে আপাতত আর কারও প্রবেশাধিকার নেই। অথচ এতোদিন তাকে শুনতে হয়েছে কোটার অধিনায়ক। কারণ বিশ্বকাপের মতো টুর্নামেন্টেও টিম কম্বিনেশনের কারণে তিনি স্কোয়াডের বাইরে চলে যান।
ঐতিহাসিক ভেন্যু ইংল্যান্ডের লর্ডসে, ১৪ জুন ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ২৮২ রানের টার্গেট ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। গত ২৭ বছরে যা তাদের সর্বোচ্চ অর্জন। এমনকি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল, আইসিসি আয়োজিত নির্দিষ্ট ফরম্যাটের বিশ্বকাপেও দক্ষিণ আফ্রিকার এটি প্রথম শিরোপা।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথম শিরোপা জেতা দক্ষিণ আফ্রিকাকে নেতৃত্ব দেয়া বাভুমাও গড়লেন ব্যক্তিগত কীর্তি।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















