বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের ২৫ বছর : গর্বের যাত্রাপথের গল্প
আজ ১০ নভেম্বর , টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি। ২০০০ সালের এই দিনে ঢাকায় টেস্টে অভিষেক হয় টাইগারদের। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটে ২৫ বছর পূর্তিতে তৃণমূলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবি।

তারই ধারাবাহিকতায় ঢাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে দুই দিনের ক্রিকেট কনফারেন্স। ঐতিহাসিক এই দিনটিকে ম্মরণী করে রাখতে সারা দেশের ক্রিকেটের স্টেক হোল্ডারদের নিয়ে ঢাকায় কেক কেটে উদযাপন করবে বিসিবি।
অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম সেঞ্চুরির ইতিহাস গড়েছিলেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল। সেই আমিনুল এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড বিসিবির সভাপতি। অভিষেক টেস্টে স্মৃতি নিয়ে জানতে চাইলে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বলেন,
সেই দিনটি ছিল স্বপ্নের মতোই। আমি স্বপ্নেও ভাবিনি যে বাংলাদেশের প্রথম টেস্টেই আমি সেঞ্চুরি করব। এটা আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় দিনগুলোর একটি। দেশের হয়ে ইতিহাস গড়তে পারাটা এক অবর্ণনীয় আনন্দ।

এছাড়া তিনি বলেন,
ওই ইনিংসটা কেবল আমার জন্য ছিল না- আমি ব্যাট করছিলাম বাংলাদেশের সম্মান, দেশের স্বপ্নের জন্য। সবাই চেয়েছিল আমরা যেন টেস্ট ক্রিকেটে নিজেদের প্রমাণ করতে পারি, আর সেই ভাবনা আমাকে শক্তি দিয়েছিল। যখন তিন অঙ্কে পৌঁছালাম, তখন চোখে পানি এসে গিয়েছিল। ড্রেসিংরুমে সবাই হাততালি দিচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, আমি শুধু একটা ইনিংস খেলিনি, বাংলাদেশের ক্রিকেটের নতুন ইতিহাসের সূচনা করেছি।

২৫ বছরে বাংলাদেশের টেস্টে ক্রিকেটের উন্নতি নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
আমরা টেস্টে সেভাবে উন্নতি করতে পারিনি। তবে এখন আর পেছনে ফিরতে চাইনা আমরা। আমি যেহেতু দায়িত্ব নিয়েছি, ক্রিকেটকে এগিয়ে নিতে চাই। বিসিবির দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই আমার লক্ষ দেশের ক্রিকেট নিয়ে কাজ করা। আমি সেই লক্ষ্য নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি।

বাংলাদেশের টেস্টের উন্নতি না হওয়ার কারণ জানতে চাইলে বলেন,
আমাদের মূল সমস্যা খেলার মাঠ না থাকা। ক্রিকেটের উন্নতির জন্য সরার আগে মাঠ প্রয়োজন। তার জন্য আমরা অনেক কিছু করতে চাই। যেমন কোন ক্লাব যদি ১৫ বছরের জন্য কোন মাঠ বিসিবিকে দিতে পারে। তাইলে সেই মাঠে আমরা খেলার উপযোগী করে দিতে চাই। সেখানে যাতে সারা বছর ক্রিকেট খেলতে পারে।
এছাড়া তিনি বলেন,
কোন ক্রিকেটার ঢাকার বাইরে গেলে সেখানে অনুশীলন করার সুযোগ পায় না, ক্রিকেট সাইন্স বলে, একজন ক্রিকেটার ৩৬ ঘণ্টা অনুশীলন না করলে না করলে তার দক্ষতা, পারফরম্যান্স বা শারীরিক সক্ষমতা কমে যেতে শুরু করে। দেহে ও মস্তিষ্কে কয়েকটি পরিবর্তন ঘটে। ক্রিকেটের উন্নতি না হওয়ার এটাই মূল কারন।
টেস্টের উন্নতির জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটের মান পরিবর্তন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,
ক্রিকেটের উন্নতির জন্যই আমরা ঢাকায় দুই দিনের ক্রিকেট কনফারেন্স করছি। সারা দেশের ক্রিকেট এক ছাতার নিচে নিয়ে আসতে এই উদ্যোগ। দেশের ৬৪টি জেলা ও ৮টি বিভাগের ক্রিকেট কোচ, কাউন্সিলরদের থেকে পরামর্শ নিচ্ছি এবং শুনছি কার কোথায় কি সমস্যা। সব কিছু শুনে আমরা একটা পরিকল্পনা করবো। আমরা তৃণমূলে ক্রিকেট ছড়িয়ে দিতে চাই।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩





















