ক্রিকেটার তামিম ইকবালের শারীরিক অবস্থার কিছুই উন্নতি হলেও ৭২ ঘণ্টা চিকিৎসকদের তত্ত্ববধানে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর। তামিমের সবশেষ অবস্থা নিয়ে মঙ্গলবার তিনি বলেন, ৭২ ঘণ্টার আগে তাকে হাসপাতাল থেকে অন্য কোথাও স্থানান্তর করা ঝুঁকিপূর্ণ হবে। বিষয়টি তামিম ইকবালসহ তার পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) গাজীপুর (সাভারের) কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতালে তামিম ইকবালের স্বাস্থ্যগত খোঁজখবর নিতে গিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,‘তামিম ইকবালের অবস্থা আগের চেয়ে অনেকটা ভালো। তামিম কথা বলছেন এবং খাওয়া-দাওয়া করছেন। হৃদরোগের ঝুঁকি থাকায় তাকে ৭২ ঘণ্টা হাসপাতালে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে।
এছাড়া তিনি আরও বলেন,‘তামিম ইকবাল আগামী তিন মাস তাকে সম্পূর্ণ বিশ্রামে থাকতে হবে। এ সময় তিনি বাসায় অবস্থান করে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন। খেলাধুলায় কবে ফিরতে পারবেন এই বিষয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক জানান, তামিম ইকবালের আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর বিষয়টি জানানো যাবে।
এসময় কেপিজে হাসপাতালের পরিচালক ড. রাজীব হাসান বলেন, একটা ক্রিটিক্যাল পিরিয়ডে তিনি ছিলেন। পুরোপুরি না হলেও এই ক্রিটিক্যাল পিরিয়ড পেরিয়ে এসেছি আমরা। উনি (তামিম) সুস্থ আছেন, খাওয়া দাওয়া করছেন। সবার সঙ্গে কথা বলছেন। আমরা খুব সুন্দরভাবে উনাকে ছেড়ে দিতে পারব। কখন ছেড়ে দেব এটা উনাদের পারিবারিক সিদ্ধান্ত।
যদিও আপাতত মাঠে ফেরা হচ্ছে না তামিম ইকবালের। চিকিৎসকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পরের তিন মাস পর্যবেক্ষণে থাকবেন তিনি, ‘আগামী তিন মাস ওনাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। উনি নিজেই চেকআপে থাকবেন। ওনার হার্ট কি আরো ভালোর দিকে যাচ্ছে, নাকি খারাপের দিকে যাচ্ছে এসব পরীক্ষা নিরীক্ষায় উনি থাকবেন।’
উল্লেখ্য, গতকাল সোমবার সকালে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে নেমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। বুকে ব্যথা নিয়ে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। পরে জানা যায়, দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর রিংও পরানো হয়।