গাজীপুরের কেপিজে হাসপাতালে থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তরের পর জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালকে দেখতে রাত দশটায় হাসপাতালে গিয়েছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া।
তামিম ও তামিমের পরিবারের সদস্যদের সাথে আলাপ শেষে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মহান রাব্বুল আল-আমীনের অশেষ রহমতে তামিম ইকবাল আমাদের মাঝে ফিরে এসেছেন এবং এই ক্ষেত্রে এতোবড় দূর্ঘটনার পরও তামিম ইকবালের যে মানসিক শক্তি আমি দেখেছি তা সত্যিই অভাবনীয়’।
মঙ্গলবার রাতে (২৫ মার্চ) হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে প্রথমে সাংবাদিকদের কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘তামিম ভাই এখন সিসিইউতে আছেন। ওনার সাথে দেখা হলো এবং এতো বড় দূর্ঘটনার পর ওনার যে মেন্টাল স্ট্রেনথ দেখেছি তা সত্যিই অভাবনীয় ‘
তামিমের মানসিক শক্তিই পরিস্থিতি এতো দ্রুত স্বাভাবিক অবস্থায় এসছে বলে মনে করেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘সাভারের মতো জায়গায় এটা শোনার পর ভয় পেয়েছিলাম। ভেবেছিলাম সাভারের মতো জায়গায় ট্রিটমেন্টটা পাওয়া যাবে কিনা? এই ক্ষেত্রে ডাক্তাররাও বড় ভূমিকা রেখেছেন। মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া যে এতাক্ষণ হার্টবিট না থাকারও পরও উনি বেঁচে আছেন একইসাথে বড় ধরনের কোন ড্যামেজ হয়নি। আশা করি উনি খুব দ্রুত রিকভার করবেন। ওনার সাথে এবং ওনার পরিবারের সাথেও কথা হয়েছে। সবাই এখন খুব স্বস্তিতে আছে। ডাক্তাররা নিয়মিত দেখছেন। দ্রুতই তিনি কেবিনে ফিরে আসবেন এবং আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।’
থাইল্যান্ডে চিকিৎসার কোন প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেন, এই ব্যাপারে ওনার পরিবার কথা বলছে। এইক্ষেত্রে ডাক্তারদের পরামর্শ অনুযায়ী ওনার পরিবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অসুস্থ হওয়ার পর সারা দেশের মানুষই তামিম ইকবালের জন্য দোয়া করেছে। এই দোয়াও নিশ্চয়ই কাজে লেগেছে? এমন প্রশ্নের জবাবে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘হ্যাঁ, অবশ্যই। আমরা যারা ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট দেখি। তামিম ইকবালসহ ক্রিকেটকে যারা অন্য একটা লেবেলে নিয়ে এসেছেন সে জায়গা থেকে দেশের সকলের দোয়া ছিলো এবং বিষয়টি অবশ্যই মিরাকল এই ক্ষেত্রে আল্লাহ রাব্বুল আলআমীনও অবশ্যই চেয়েছেন বলেই উনি আমাদের মাঝে আছেন। খুব দ্রুতই ওনাকে আমরা পুরাতনরুপে মাঠে দেখতে পাবো। আমরা সে প্রত্যাশাতেই আছি।’