আরও একবার বৈশ্বিক কোনো টুর্নামেন্টের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে রীতিমতো উড়ে গেছে প্রোটিয়ারা। ৬ উইকেটে নিউজিল্যান্ডের ৩৬২ রানের জবাবে ৯ উইকেটে ৩১২ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো টেম্বা বাভুমার দলকে। তাদের হারতে হলো ৫০ রানের ব্যবধানে ৯ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে টুর্নামেন্টের ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড।
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিয়ে নামা নিউজিল্যান্ড রান উৎসব করেছে। রাচীন রবীন্দ্র’র পর সেঞ্চুরি করেছেন কেন উইলিয়ামসন। বিপরীতে প্রোটিয়াদের পক্ষে একা লড়াই চালিয়ে ডেডিড মিলার অপরাজিত ১০০ রান করলেও দলের পরাজয় ঠেকাতে পারেন নি।
উদ্বোধনী জুটিতে নিউজিল্যান্ড ৪৮ রানের সংগ্রহ পায় উইল ইয়াং ও রাচীন রবীন্দ্রর ব্যাটে। ২১ রান করা উইল ইয়াং বিদায় নেয়ার পরই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নেয় নিউজিল্যান্ড। কেন উইলিয়ামসন ও রাচীন দলীয় সংগ্রহকে ২১২তে নিয়ে যাওয়ার পর বিচ্ছিন্ন হন। সেঞ্চুরি তুলে প্রথমে আউট হন রাচীন। তার ব্যাটে আসে ১০৮ রান। দলীয় ২৫১ রানের সময় তৃতীয় উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। এই সময় বিদায় নেন ১০২ রান করা কেন উইলিয়ামসন।
এই জুটির বিদায়ের পরও থামেনি কিউই ব্যাটারদের রান উৎসব। শেষ ১০ ওভারে তারা নিয়েছেন ১১০ রান। ড্যারিল মিচেল ও গ্লেন ফিলিপসের ব্যাটে আসে ৪৯ রান করে। মিচেল ৪৯ রান করে আউট হলেও অপরাজিত ৪৯ রান নিয়ে মাঠ ছাড়েন ফিলিপস।
বড় রানের টার্গেটে খেলতে নেমে নিউজিল্যান্ডের শুরুটা হয় সাদামাটা। ওপেনার রায়ান রিকেলটন ১৭ করে আউট হন। অধিনায়ক ও আরেক ওপেনার বাভুমা ৫৬ রান করেন। রসি ভ্যান ডার ডুসেন করেন ৬৯ রান। টপ অর্ডারের আরেক ব্যাটার এইডেন মার্করাম করেন ৩১। হেইনরিচ ক্লাসেন বিদায় নেন মাত্র ৩ রান করে।
টপ অর্ডারের পাঁচ ব্যাটার বিদায় নিলে দক্ষিণ আফ্রিকার পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে যায়। এর মধ্যেও একাই লড়াইটা চালিয়ে গেছেন ডেভিড মিলার। কিন্তু তার অপরাজিত ১০০ রান কেবলই হয়ে থাকলো ব্যক্তিগত সান্ত্বনা।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















