শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে রান উৎসব করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। আজ লখনৌর একানা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছিল প্রোটিয়ারা। কুইন্টন ডি কক সেঞ্চুরিও করেছেন। তবে শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
রানটা আরও বেশি হলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু শেষ দিকে এসে অস্ট্রেলিয়ার বোলাররা দারুণভাবে রান নিয়ন্ত্রণে সমর্থ হয়।
দিবারাত্রির এ ম্যাচে টসে জিতে অস্ট্রেলিয়া। বোলিং নেয়ার পর যেন ভুল বুঝতে পারলেন প্যাট কামিনস। শুরুতেই প্রোটিয়া ব্যাটাররা যে এতটা নির্দয় হবে তা হয়তো বুঝতে পারেননি তিনি। টেম্বা বাভুমা কিছুটা ধীর গতিতে এগুলেও কুইন্টন ডি কক রকেট গতিতে স্কোরকার্ড পরিবর্তন করেছেন। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালিয়ে ক্যারিয়ারের শেষ বিশ্বকাপটা রাঙিয়ে তোলার সব আয়োজনই করে চলেছেন তিনি।
বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন ডি কক। প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঠিক ১০০ রান করে থেমেছিলেন। এবারের সেঞ্চুরিটা অবশ্য একটু সামনে এগিয়ে নিয়েছেন। ১০৯ রানে থেমেছেন। আট বাউন্ডারি ও পাঁচ ওভার বাউন্ডারিতে ১০৬ বলে এই রান করেছেন তিনি।
৫১ বলে ফিফটি পূর্ণ করা উইকেট কিপার এ ব্যাটার তিন অঙ্কে পৌঁছাতে সময় নিয়েছেন মাত্র ৩৯ বল। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৪৭ ম্যাচে এটি তার ১৯তম সেঞ্চুরি। সেঞ্চুরি তুলে নিলেও নিজের ইনিংস বেশিদূর নিয়ে যেতে পারলেন না ডি কক (১০৯)। ওপেনিংয়ে সতীর্থ টেম্বা বাভুমা আগেই তাঁকে ছেড়ে যান। প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ বাভুমা ৩৫ রান করেন। ১০৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় প্রোটিয়ারা। এটিই ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটি। অন্য বড় জুটিটি গড়েন ডি কিক ও এইডেন মার্করাম। ৬৬ রানে জুটি ছিল তাদের। মার্করাম ৫৬ রান করেন। এটিই ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ।
অস্ট্রেলিয়ার সফল বোলার ছিলেন মিচেল স্টার্ক ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। উভয়ে দুটো করে উইকেট শিকার করেছেন।
