নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে জয়ের পরই বাংলাদেশের ‘সুপার এইট’ যারা নিশ্চিত ধরে নিয়েছিলেন তাদের ওপর নিশ্চয়ই ঝড় বইয়ে দিয়েছিলেন নেপালের ক্রিকেটাররা। আজ ভোরে (১৫ জুন ২৪) সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে নেপালে হেরেছে মাত্র এক রানে।
আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১১৫ রান তুলেছিলো দক্ষিণ আফ্রিকা। সমান ৭ উইকেট হারিয়েছে নেপাল তুলেছে ১১৪ রান। এই ম্যাচটা জিততে পারলে পরের ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিশ্চয়ই মানসিকভাবে এগিয়ে মাঠে নামতো নেপাল। ওই ম্যাচে নেপাল জয় পেলে দক্ষিণ আফ্রিকার পর ‘ডি গ্রুপ’ থেকে দ্বিতীয় দল হিসেবে তারাই যেতো সুপার এইটে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর নেপালী সমর্থকরাই এতোটাই হতাশ ছিলেন যে, ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে বাংলাদেশী সাংবাদিকদের দিকে তারা তেড়ে আসেন। মারতে উদ্যত হন। ধাক্কাও দিয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশী সাংবাদিককে।
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যে অনেক বেশি অনিশ্চয়তায় ভরা দিনে দিনে তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। ২০ ওভারের ম্যাচে কোন দলই আর সেভাবে ফেবারিট থাকছে না। নেপাল ও দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ সেই বিষয়টিকে আবারও সামনে আনলো।
কিংসটাউনের আর্নস ভেইল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে রিজা হেনড্রিকসের ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৭ ও ট্রিস্টান স্টাবসের ১৮ বলে করা অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ১১৫ রানের সংগ্রহ পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। নেপালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রোটিয়া ব্যাটারদের মধ্যে স্টাবস ছাড়া আর কেউই স্ট্রাইক রেট ১০০ পার করতে পারেন নি।
নেপালের দুই বোলার এই দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ৭ উইকেট ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। চার ওভারে ১৯ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন কুশাল ভুর্তেল। ২১ রানে তিন উইকেট পেয়েছেন দীপেন্দ্র সিং আইরে। নেপাল ক্রিকেটের আলোচিত-সমালোচিত ক্রিকেটার সন্দিপ লামিচানে কোন উইকেট না পেলেও চার দিয়েছন ১৮ রান।
জবাবে খেলতে নেমে নেপাল জয়টা প্রায় হাতের মুঠোয় নিয়ে নিয়েছিলো। কিন্তু ২০তম ওভারের শেষ বলে গুলশান ঝা রান আউট হয়ে গেলো রুপকথা লেখা হয়নি নেপালের। শেষ ওভারে জয়ের জন্য নেপালের প্রয়োজন ছিলো ৮ রান।
অটনিয়েল বার্টম্যানের করা ওভারটিতে প্রথম তিন বলে রান না করতে পারলেও তৃতীয় বলে বাউন্ডারি হাকান গুলশান ঝা। পরের বলেই নেন দুই রান। শেষ দুই বলে আরও দুই রানের প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু ৫ম বলে কোন রান নিয়ে শেষ বলে রান নিতে হয়ে গেলেন রান আউট।
নেপালের পক্ষে আসিফ শেখ ৪২ ও অনিল শাহ ২৭ রান করেন। কুশাল ভুর্তেল করেন ১৩ রান। এর বাইরে আর কেউই দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
