সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ জিতে দেশে ফিরে মেয়েদের উচ্ছ্বাসের বিপরীতে বাংলাদেশের ক্রিকেট দলের পারফরম্যান্স হতাশার নতুন মাত্রা স্পর্শ করেছে। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ২৭৩ রানে পরাজিত হয়ে বাংলাদেশ দল ধবলধোলাইয়ের লজ্জায় ডুবেছে।
এই টেস্টে ব্যাট হাতে ব্যর্থতার চরম উদাহরণ দেখিয়েছে স্বাগতিকরা। মিরপুরের প্রথম টেস্ট হারার পর, দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে শুধুমাত্র পরাজয়ের ব্যবধান কমানোর লক্ষ্য ছিল টাইগারদের সামনে। কিন্তু শান্ত, মুশফিক, এবং সাদমানরা এই লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়েছেন। প্রথম ইনিংসে ১৬৬ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে দলীয় সংগ্রহ ১৪৩ রানেই থেমে যায়। পুরো ম্যাচেই দেখা গেছে ব্যাটসম্যানদের দায়সারা মনোভাব। সেঞ্চুরি কিংবা ফিফটি করা দূরের কথা, একটি স্থিতিশীল ইনিংসও খেলতে পারেননি স্বাগতিকরা।
অন্যদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার টেল এন্ডার ব্যাটসম্যানরাও যেখানে গুরুত্বপূর্ণ রান তুলতে সফল হয়েছেন, সেখানে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে কেউই প্রতিরোধ গড়তে পারেননি। তৃতীয় দিনে দুই ইনিংসে বাংলাদেশের ১৬টি উইকেট পতন হওয়ায় পুরো ম্যাচটি দ্রুতই শেষ হয়ে যায়।
যদিও ইনিংস ও ৩১০ রানে হারার রেকর্ড থেকে অল্পের জন্য বেঁচে গেছে বাংলাদেশ। তা সম্ভব হয়েছে কেবল হাসান মাহমুদের লোয়ার অর্ডারে ৩৮ রানের সংগ্রহের জন্য। বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ব্যবধানে হার, যা ক্রিকেটে দলের ব্যর্থতা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন পারফরম্যান্সের বড় উদাহরণ হয়ে থাকবে।