দ. আফ্রিকাকে ২৪৬ রানের চ্যালেঞ্জ নেদারল্যান্ডসের

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেই স্মৃতি নেদারল্যান্ডস ফিরিয়ে আনতে পারবে কিনা তা জানতে আরো কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। তবে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে ডাচদের ব্যাটিংটা দারুণ হয়েছে। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ৪৩ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪৫ রান করেছে তারা। যা শেষ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকাকে কঠিন পরীক্ষায় ফেলে দিতে পারে।

বৃষ্টির কারণে ম্যাচ শুরু হবে কি না তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছিল। ফলে ঠিক মতো সময় টস হতে পারেনি। প্রায় এক ঘন্টা দেরিতে টস হওয়ার পর আরো এক ঘন্টা দেরিতে খেলা শুরু হয়েছে। দুই ঘন্টা সময় নষ্ট হওয়ায় খেলার পরিধিও কমে আসে। ৪৩ ওভার নির্ধারিত হয় খেলার পরিধি।

ধর্মশালায় বৃষ্টি বিঘ্নিত দিবারাত্রির এ ম্যাচে টস জিতে প্রতিপক্ষকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। তার সিদ্ধান্তের প্রতি যথার্থ সম্মান জানিয়েছিল বোলাররা। একের পর এক উইকেট তুলে নিচ্ছিল। ২২ রানে প্রথম উইকেটের পর ২৪ রানে দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেয় দক্ষিণ আফ্রিকার বোলাররা।

নেদারল্যান্ডসের রান ৫০ এ পৌঁছাতে আরো দুই ব্যাটার আউট হয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ১৪০ রানে তারা হারায় সপ্তম উইকেট। ফলে দ্রুত নেদারল্যান্ডসের ইনিংস গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা দেখা দেয়। কিন্তু অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস সত্যিকার অধিনায়কের মতোই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। দলের যখন অবস্থা নাজুক তখন বুক চিতিয়ে লড়াই করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো বোলারকে পাত্তাই দেননি। বরং একের পর উইকেট শিকার করে প্রোটিয়া বোলারদের মুখে যে হাসি ফুটেছিল এডওয়ার্ডসের ব্যাটিং সেই হাসি কেড়ে নেয়।

এডওয়ার্ডস একের পর এক বলকে বাউন্ডারি সীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন। ৬৯ বলে করেছেন ৭৮ রান। দশটি বাউন্ডারি ও একটি ওভার বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। তাকে যোগ্য সহযোগিতা দিয়েছেন ফন ডার মারউই। ১৯ বলে ২৯ রান করেছেন। এছাড়া আরয়ান দত্ততে ব্যাটিং তাণ্ডব করেছেন। মাত্র ৯ বলে স্কোরবোর্ডে ২৩ রান যোগ করেছেন।

নেদারল্যান্ডসের বিশাল এ স্কোরে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের অবদান কিন্তু কম নয়। ৩২ রান অতিরিক্ত পেয়েছে নেদারল্যান্ডস। তার মধ্যে ২১টি ছিল ওয়াইড বল। একটা নো বল। অর্থাৎ অতিরিক্ত চার ওভার বোলিং করতে হয়েছে তাদের। লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো ইয়ানসেন ও কাগিসো রাবাদা ছিলেন সফল বোলার। দুটো করে উইকেট নেন তারা।

Exit mobile version