নাইটের হাফ সেঞ্চুরি; ইংল্যান্ডের কাছে চার উইকেটে হারলো বাংলাদেশ

নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ

দলীয় ২৯ রানে ২ উইকেট হারালেও নাইটের ব্যাটে সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড

১৭৯ রানের সহজ টার্গেট হলেও মারুফা আক্তারের জাদুকরী পেস বোলিংয়র মুখে দলীয় ২৯ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে ইংল্যান্ড। সেখান থেকে ওয়ানডে ডাউনে ব্যাটিংয়ে নামা হিদার নাইটের হাফ সেঞ্চুরিতে (৭৯ রান) বাংলাদেশের বিপক্ষে চার উইকেটের সহজ জয় তুলে নেয় ইংল্যান্ড। আট বার বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলে চারবারই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। তাই প্রত্যাশিত জয় ছিল তাদেরই। তবুও বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের চোখে চোখ রেখে লড়াই করল মারুফ-ফাহিমারা।

গুয়াহাটির বর্ষাপাড়া ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৪৮ ওভার চার বলে দলীয় ১৭৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ৪৬ ওভার এক বলে ৬ উইকেট হারানো ইংল্যান্ড ১৮২ রান তুলে নেয়।

বাংলাদেশের দেওয়া ১৭৯ রানের জবাবে ৪৬.১ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮২ রান তোলে ইংল্যান্ড। এদিন মারুফার দুর্দান্ত বোলিংয়ে দলীয় ২৯ রানে দুই ওপেনারকে হারায় ইংলিশরা। এমি জোন্স ১ ও টামি বেউমন্ট ১৩ রান করে মারুফার বলে এলবিডাব্লিউ হন। এরপর দলীয় ৭৮ রানে ৫ উইকেটে হারায় তারা।

দলের বিপদে হিথার নাইট দলের হাল ধরেন। এর মাঝে বিদায় নেন অধিনায়ক ন্যাট সেইভার ৩২, সোফিয়া ডাঙ্কলি শূন্য, এমা ল্যাম্ব ১ রানে। এরপর দলীয় ১০৩ রানের মাথায় ষষ্ঠ উইকেট হারায় ইংলিশরা। তখনও হাফসেঞ্চুরি করে দলকে এগিয়ে নেন হিথার নাইট। তাকে সঙ্গ দেন চার্লড ডিন। শেষ পর্যন্ত হিথার ৭৯ ও ডিন ২৭ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ফাহিমা ১০ ওভারে ১৬ দিয়ে নেন তিন উইকেট। এছাড়া মারুফা নেন দুই উইকেট।


ভারতের গৌহাটিতে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ২৯ বলে ২৪ রানের সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার রুবাইয়া হায়দার ও শারমিন আকতার। ৯ বলে ৪ রান করে প্রথম ব্যাটার হিসেবে আউট হন রুবাইয়া। প্রথম উইকেট পতনের পর ষষ্ঠ ওভারে ক্রিজে এসে মাত্র ২ বল খেলে খালি হাতে সাজঘরে ফিরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। ক্রিজে সেট হয়ে দলীয় ৫৯ রানে আউট হন শারমিনও। ৬টি চারে ৫২ বলে ৩০ রান করেন তিনি।

এরপর মিডল অর্ডারের চার ব্যাটার বেশিক্ষণ টিকতে না পারলে ১৩০ রানে সপ্তম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। স্বর্ণা আকতার ১০, রিতু মনি ৫, ফাহিমা খাতুন ৭ ও নাহিদা আকতার ১ রানে থামেন। সতীর্থদের যাওয়া আসার মাঝে এক প্রান্ত আগলে ইংল্যান্ড বোলারদের সামনে লড়াই করেছেন সোবাহানা।

চার নম্বরে নেমে ৯২ বল খেলে ২৫ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে প্রথম হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন সোবাহানা। অর্ধশতকের পর বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ৮টি চারে ১০৮ বল খেলে ৬০ রানে আউট হন এই ডান-হাতি ব্যাটার। দলীয় ১৫৬ রানে অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সোবাহানার আউটের পর বাংলাদেশকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দিয়েছেন নয় নম্বরে ব্যাট হাতে নামা রাবেয়া। তার মারমুখী ইনিংসের সুবাদে ৪৯.৪ ওভারে ১৭৮ রান করে বাংলাদেশ।

৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৩ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন রাবেয়া। ২৬ ম্যাচের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটিই সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রান রাবেয়ার। ইংল্যান্ডের সোপিয়া একলেস্টোন ২৪ রানে ৩ উইকেট নেন।

Exit mobile version