নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ঐতিহাসিক জয়

টানা দুই ওয়ানডে হেরে সিরিজ হাতছাড়া হয়েছিলো আগেই। লক্ষ্য ছিলো হোয়াইট ওয়াশ এড়ানো। সেই ম্যাচটাতে চমক দেখালো বাংলাদেশ দল। জয় পেয়ে ৯ উইকেট ও ৩৪ ওভার পাঁচ বল হাতে রেখে।

মূলত কাজটা সহজ করে দেন পেসাররা। শরিফুল, তানজিম সাকিব ও সৌম্য সরকারের বোলিংয়ে ৯৮ রানেই গুটিয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের তিন পেসারই তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন। মুস্তাফিজ পেয়েছেন একটি।

নেপিয়ারের ম্যাকলিন পার্কে, টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে, চতুর্থ ওভারে প্রথম উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। পেসার তানজিম হাসান সাকিবের হলে মেহেদি হাসান মিরাজের হাতে ধরা পড়েন ইনফর্ম ব্যাটার রাচিন রবীন্দ্র। ৮ম ওভারে হেনরি নিকোলসকে ফেরান তানজিম সাকিবই।

তবে নিজের দ্বিতীয় স্পেলে স্বপ্নের মতো কাটান দলের স্ট্রাইক বোলার পেসার শরিফুল। ইনিংসের ১৭, ১৯ ও ২১তম ওভারে তিন কিউই ব্যাটার টম লাথাম, উইল ইয়ং ও মার্ক চ্যাপম্যানকে ফেরান শরিফুল।

লোয়ার অর্ডারে উইকেট তোলার উৎসবে যোগ দেন মিডিয়াম পেসার সৌম্য সরকার। তিন উইকেটে নেন দ্বিতীয় ম্যাচে ১৬৯ রানের ইনিংস খেলা সৌম্য।

টানা দুই ওয়ানডে জিতে সিরিজ নিশ্চিত করে নেয়ায় নিউজিল্যান্ডে এদিন পূর্ণশক্তির দল মাঠে নামায়নি। বাংলাদেশের সামনে স্বাগতিকরা দাঁড়াতেই পারেনি। ৩১ ওভার চার বলে অলআউহ হয়েছে ৯৮ রানে।

জবাবে খেলতে নেমে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তর অপরাজিত ৫১ রানের ‍সুবাদে সহজ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ দল।

দলীয় ১৫ রানে সৌম্য সরকার রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন। চোখের সমস্যা নিয়ে সৌম্যকে মাঠ ছাড়তে হয়। চোখে পানির ঝাপটা এমনকি চোখের ড্রপ দিয়েও কাজ হয়নি। ফলে আঘাত জনিত সমস্যা না হলেও রিটায়ার্ড হার্টে হয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরেন সৌম্য।

ওয়ান ডাউনে খেলতে নেমে আরেক ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের সাথে ৬৯ রানের জুটি গড়েন শান্ত।

৩৩ বলে ৩৭ রান করে উইলিয়াম ও’রোর্কির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন বিজয়। পরে লিটন দাসের সাথে জুটি গড়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন শান্ত।

Exit mobile version