মেহেদী মিরাজ যখন উইকেটের উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তখন অন্যপ্রান্তে লিটন অপরাজিত ৩৭ রানে। ৪৯ রানে চার উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়া বাংলাদেশকে টেনে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করছিলেন লিটন। সঙ্গী মুশফিকুর রহিম। দুই উইকেটরক্ষক উইলোতো আশার আলো দেখছিলো টাইগাররা।
বাংলাদেশের ব্যাটিং বিপর্যয়ের মধ্যে আত্নবিশ্বাস নিয়ে খেলছিলেন লিটন ও মুশফিক। আস্থার ব্যাটিংয়ে লিটন তুলে নেন ক্যারিয়ারের ১১তম হাফসেঞ্চুরি, তাও আবার ৩৮ বলে। এর মধ্যে সাতটা বাউন্ডারির পাশাপাশি ছিলো একটি ছয়ের মার।
লিটনের নামে একটা কথা চালু হয়ে গিয়েছিলো যে, লিটন হাফ সেঞ্চুরি পেলে সেটাকে তিন অঙ্কের ‘ম্যাজিক ফিগারে’ নিয়ে যান। আজও হয়তো সেদিকেই যাচ্ছিলেন। কিন্তু মনো:সংযোগ হারালেন ডানহাতি এই ব্যাটার। ইনিংসের ২১তম ওভারে ক্রিস ওকসের বলেই ফিরলেন উইকেটের পেছনে জস বাটলারের হাতে ক্যাচ দিয়ে। ৭৬ রানে ফেরা লিটন ও ৮ রানে রানে আউট মিরাজের আউটে যতোটা না কৃতিত্ব বোলার ওকসের তারচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে তাদের হেয়ালি ব্যাটিং।
অথচ দলের বিপর্যয়ের মুখেও কি আত্নবিশ্বাসী ব্যাটিংটাই না করছিলেন তিনি। দাপট দেখানো ইংলিশ বোলারদের বিপক্ষে ৩৮ বলে তার হাফসেঞ্চুরিতে প্রশ্ন উঠেছিলো লিটন যেখানে এতো সহজে রান তুলেতে পারছেন অন্যরা কেন এভাবে নিজেদের উইকেট দিয়ে আসলেন?
নিরীহ ডেলিভারিতে লিটন ফিরলেন ৭৬ রানে

৩৮ বলে হাফসেঞ্চুরির পথে লিটনের একটি শট।