দুশ্চিন্তার মেঘ কাটিয়ে বোলারদের কল্যাণে নেপালের বিপক্ষে ২১ রানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। একইসাথে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে জায়গা করে নিলো টাইগাররা। সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেইল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৯ ওভার তিন বলে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। স্বল্প রানের পুঁজি নিয়েও তানজিম সাকিব-মোস্তাফিজদের সাঁড়াশি বোলিংয়ে ১৯ ওভার দুই বলে ৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় নেপাল।
সেন্ট ভিনসেন্টের আর্নস ভেইল গ্রাউন্ডে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে পুরো ২০ ওভারও খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। ১৯ ওভার তিন বলে অলআউট হয়ে যায় মাত্র ১০৬ রানে। যথারীতি ব্যর্থ বাংলাদেশ দলের টপ অর্ডার ব্যাটাররা। অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত আউট হয়েছেন চার রান করে।
ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হয়েছেন তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নেন শান্ত আউট হয়ে যান। দলীয় ২১ রানে ব্যক্তিগত ১০ রানে লিটন কুমার দাস আউট হওয়ার সময়ও মনে হয়নি নেপালের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং লাইন-আপ এভাবে ভেঙে পড়বে।
দলীয় ৩০ রানে তাওহীদ হৃদয় চতুর্থ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হয়ে গেলে ৫ম উইকেটে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান দলকে ভরসা দিচ্ছিলেন। কিন্তু তাদের ২২ রানের জুটি ভাঙে সাকিবের সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে মাহমুদুল্লাহ রান আউট হয়ে গেলে। দলীয় ৫২ রানে মাহমুদুল্লার বিদায়ের পর দ্রুতই ফেরেন সাকিব আল হাসান।
পরে জাকের আলী অনিকের ২৬ বলে ১২, রিশাদ হোসেনের ৭ বলে ১৩ এবং তাসকিন আহমেদের ১৫ বলে ১২ রানের সুবাদে বাংলাদেশের সংগ্রহ ১০৬ পর্যন্ত গিয়েছে। মোস্তাফিজুর রহমান রান আউটের শিকার হলে তিন বল আগেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস।
নেপালের পক্ষে চারজন বোলার দুটি করে উইকেট পেয়েছেন
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয় হাতছাড়া হওয়ার পর বাংলাদেশকে হারিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করতে চেয়েছিলেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পুডেল। বাংলাদেশকে ১০৬ রানে গুড়িয়ে দেয়ার পর তার সে স্বপ্ন নিশ্চয়ই আরও বড় হয়েছিলো। কিন্তু ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই জোড়া উইকেট তুলে নেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব।
দলীয় ২৬ রানে ৫ উইকেটে হারানোর পর ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছিলেন কুশল মাল্লা ও দীপেন্দ্র সিং। ১৭তম ওভারে ২৭ রান করা কুশল মাল্লাকে আউট করে দলকে স্বস্তির নিঃশ্বাস এনে দেন পেসার মোস্তাফিুজর রহমান। পরের ওভারে গুলশান ঝাকে শূন্য রানে ফেরা তাসকিন আহমেদ।
নেপালের শেষ চার ব্যাটারই ফিরেছেন শূন্য রানে। সব মিলিয়ে দলটার পাঁচজন ব্যাটার এদিন কোন রান করতে করতে ব্যর্থ হন ।
বাংলাদেশের পক্ষে তানজিম সাকিব ৭ রানে চার উইকেট তুলে নিয়েছেন। মোস্তাফিজুর রহমানও ৭ রানে নিয়েছেন তিন উইকেট। অপর পেসার তাসকিন আহমেদ পেয়েছেন এক উইকেট। আর এবারের বিশ্বকাপে উইকেটের দেখা পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। ২০তম ওভারে পর পর দুই বলে সোমপাল কামি ও অবিনাশ বোহরাকে আউট করেন সাকিব।