পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়

ইতিহাস গড়তে প্রয়োজন ছিলো আর মাত্র ১৪৩ রান। শেষ দিনের লড়াইয়ে হাতে ছিলো ১০ উইকেট। প্রথমবারের মতো পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর বাংলাদেশ নিজেদের লক্ষ্যের বাস্তবায়ন করতে চেয়েছিল দিনের প্রথম সেশনেই।

দ্বিতীয় ইনিংসে ফাইফার নিয়ে রাওয়ালপিন্ডির অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো হাসান মাহমুদ শুনিয়েছেন তেমনটাই। তা অবশ্য সম্ভব হয়নি। অপেক্ষাটা আরেকটু বাড়িয়ে দ্বিতীয় সেশনের জন্য রোমাঞ্চ জমিয়ে রেখে ৮০ রান যোগ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর বাংলাদেশ।

ঝলমলে আবহাওয়ার দিনে শুরুটা ভালোর আভাস দিয়েছেন দুই ওপেনার জাকির হাসান ও সাদমান ইসলাম। মির হামজার বলে সাজঘরে ফেরেন চতুর্থ দিনে ওয়ানডে মেজাজে খেলা ওপেনার জাকির হাসান। ফেরার আগে ৩৯ বলে ৪০ রান যোগ করেন তিনি।

ধৈর্য্য হারিয়েছেন সাদমানও। ৫১ বলে ২৪ রান করে খুররাম শেহজাদের বলে শান মাসুদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। দলীয় ৭০ রানের মধ্যে বাংলাদেশ হারায় দুই ওপেনারকে।

জয় থেকে মাত্র ৬৩ রান দূরে থেকে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। ক্রিজে ছিলেন দুই অপরাজিত ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হক। লাঞ্চের পর ফিরেই খেই হারিয়েছেন শান্ত। সালমান আলি আঘার সাদামাটা এক ডেলিভারিতে শর্ট লেগে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান বাংলাদেশ অধিনায়ক। দলের স্কোরকার্ডে যোগ করেন ৮২ বলে ৩৮ রান।

অধিনায়কের বিদায়ের পর টেকেননি মুমিনুলও। ৭১ বলে ৩৪ রান করে আবরারের বলে থামেন তিনি। দুই সেট ব্যাটার ফিরলে মুশফিককে সঙ্গে করে চিত্রনাট্যের বাকি অংশটা লিখেন সাকিব আল হাসান। শেষ দিকে নেমে সাকিব করেন ২১ রান। তাকে সঙ্গ দেয়া মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান।

প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জেতার পর দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের জয় ৬ উইকেটে। আর তাতেই প্রথমবারের মতো পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় ডুবাল বাংলাদেশ।

প্রথম ইনিংসে ১৩৮ রান করে ম্যাচসেরা হয়েছেন লিটন কুমার দাস। আর দুই টেস্টে ১৫৫ রানের সাথে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরার পুরষ্কার হাতে নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

Exit mobile version