অ্যাশেজের প্রথম টেস্টে পার্থ যেন ঝড় তুলেছিল ক্রিকেট দুনিয়ায়। প্রথম দিনেই ১৯টি উইকেট পড়ে ইতিহাসে নজির গড়ে এই টেস্টে। পরের দিন অর্থাৎ টেস্টের মাত্র দ্বিতীয় দিনেই শেষ হয় ম্যাচ । এমন নাটকীয় ঘটনার পর সবার আলোচনার কেন্দ্র ছিল একটাই বিষয়, পার্থের সেই বিস্ময়কর উইকেট। কিন্তু বিতর্কিত এই পিচ নিয়ে আইসিসি যখন রেটিং দিল, তখন রেটিংতা এল পুরোপুরি উল্টো!
ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে জানান, পার্থ স্টেডিয়ামের পিচ ছিল খুব ভালো। এই গ্রেড আইসিসির রেটিং স্কেলে সর্বোচ্চ। এমন পিচ সাধারণত সেইসব ম্যাচে দেখা যায় যেখানে বল ভালোভাবে ব্যাটে আসে, অতি সিম মুভমেন্ট থাকে না এবং পুরো ম্যাচজুড়ে বাউন্স থাকে নিয়ন্ত্রিত। অর্থাৎ ব্যাটার আর বোলার উভয়ের জন্যই থাকে লড়াই করার সুযোগ।
যদিও ম্যাচের প্রথম দিন বোলারদের রাজত্বেই সব কিছু কেঁপে উঠেছিল। ১৯টি উইকেটের পতনে ইংলিশ বা অজি কোন দলের ব্যাটাররাই টিকে থাকতে পারেননি। তবে পরদিন অজি ব্যাটার ট্রাভিস হেডের মাত্র ৮৩ বলে ১২৩ রানের তাণ্ডবের ইনিংসে ম্যাচের ছবিটা পুরো বদলে যায়। মাত্র ৮৪৭ বল লাগতে হয়েছে পুরো টেস্ট শেষ করতে, যা অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে নতুন রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথও বলেন, দ্বিতীয় দিনের শেষে পিচের আচরণ অনেকটাই স্থিতিশীল হয়। গত বছরও পার্থে একই রকম পরিবর্তন দেখা গিয়েছিল বলে জানান তিনি। এই মূল্যায়ন পেয়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াও। সিএর ক্রিকেট প্রধান জেমস অলসোপ মনে করেন, পার্থের উইকেট ব্যাট বলের মাঝে আদর্শ ভারসাম্য তৈরি করতে সক্ষম।
দুই দিনেই খেলা শেষ হয়ে যাওয়ায় বিশাল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে স্বাগতিকরা। প্রায় ৩ মিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার, অর্থাৎ ২৪ কোটি টাকা লোকসান হয়েছে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের খেলা না হওয়ায়। প্রথম দুই দিন মিলিয়ে ১ লাখ ১৪ হাজার দর্শক মাঠে এলেও তৃতীয় দিনের টিকিট কাটা প্রায় ৬০ হাজার দর্শক শুধু ক্ষোভ নিয়েই ফিরে গেছেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















