ফ্লোরিডায় জমজমাট লড়াই শেষে শিরোপা পাকিস্তানের

ছবিতে ম্যান সাহেবজাদা ফারহানের হাতে টি-টয়েন্টি সিরিজ এবং ম্যাচ অফ দ্যা সিরিজ এর ট্রফি

তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের শেষ ম্যাচে ১৩ রানের জয় তুলে নিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে পাকিস্তান। এর মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা সাতটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করল দলটি।

পাকিস্তানের জয় নিশ্চিত করতে বড় ভূমিকা রাখেন বাঁহাতি স্পিনার সুফিয়ান মুকিম। খেলার মাঝের ওভারগুলোতে বল হাতে তিনি চাপে ফেলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের, যা পাকিস্তানকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। এরপর ডেথ ওভারে দায়িত্ব পালন করেন হারিস রউফ ও হাসান আলী।

রান তাড়ায় অবশ্য ভালো শুরু করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। পাওয়ার প্লেতে ৫৯ রান তোলে তারা, মাত্র এক উইকেট হারিয়ে। এরপর রস্টন চেজসহ মিডল অর্ডার ব্যাটাররা মন্থর গতির ইনিংস খেললে চাপ বাড়ে। অ্যালিক আথানেজ অবশ্য ৪০ বলে ৬০ রানের একটি ঝলমলে ইনিংস খেলে কিছুটা লড়াই টিকিয়ে রাখেন।

১৬ ওভার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রয়োজন ছিল ৪৯ রান, হাতে ছিল ছয়টি উইকেট। ১৭তম ওভারে মাত্র ৮ রান দেন রউফ। ওই ওভারের শেষ বলে ১২ বলে ১৫ রান করা চেজ ‘রিটায়ার্ড আউট’ হয়ে মাঠ ছাড়েন। ১৮তম ওভারে বল হাতে আসেন সুফিয়ান, দেন মাত্র ৩ রান এবং ফিরিয়ে দেন জেসন হোল্ডারকে।

শেষ দুই ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩৮ রান। ১৯তম ওভারে রউফ দেন ১৩ রান, যার মধ্যে একটি ছক্কাও ছিল। শেষ ওভারে ২৫ রান দরকার ছিল ক্যারিবীয়দের। প্রথম বলেই ডট করেন হাসান আলী, আর দ্বিতীয় বলেই আউট করেন অর্ধশতক করা শেরফান রাদারফোর্ডকে (৩৫ বলে ৫১)। শেষ চার বলে গুড়াকেশ মোতি একটি চার ও ছক্কা মারলেও, জয় এনে দিতে পারেননি দলকে।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুব। বাঁহাতি এই জুটি প্রথম উইকেটে যোগ করেন ১৩৮ রান। ফারহান করেন ৫৩ বলে ৭৪ রান, আর সাইম খেলেন ৪৯ বলে ৬৬ রানের ইনিংস। শেষদিকে হাসান নওয়াজ ৭ বলে ১৫ এবং খুশদিল শাহ ৬ বলে ১১ রান করে দলীয় সংগ্রহ ১৮৯ রানে নিয়ে যান।

সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পায় পাকিস্তান, দ্বিতীয় ম্যাচে শেষ বলে চার মেরে জিতে সমতা ফেরায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় তুলে নেয় পাকিস্তানই।

Exit mobile version