জাকের আলী, তাইজুল ইসলাম ও নাহিদ রানা এই তিন ক্রিকেটারের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্মরণীয় এক জয় পেলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। তাও জয়টা এসেছে ১০১ রানের বড় ব্যবধানে। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শেষ হলো ১-১ সমতায়। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম, আর সিরিজ সেরা হয়েছেন পেসার তাসকিন আহমেদ।
চতুর্থ দিন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসটাকে বড় করার ক্ষেত্রে সাহসী ইনিংস খেলেন জাকের আলী অনিক। ৫ উইকেটে ১৯৩ রান নিয়ে চতু্র্থ দিনের খেলা শুরু করা বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত দলীয় রানটাকে ২৬৮ পর্যন্ত নিতে পেরেছে অনিকের ৯১ রানের কল্যাণে। তৃতীয় দিনের ২৯ রানের সাথে আরও ৬২ রান করেন অনিক।
তৃতীয় দিন শেষে জাকের আলী ২৯ ও তাইজুল ইসলাম ৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। এই অবস্থায় তারা চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন। নাইট ওয়াচম্যান হিসেবে খেলতে নামা তাইজুল তৃতীয় দিনের সাথে মাত্র ৫ রান যোগ করেই আউট হন। এরপর নিঃসঙ্গ শেরপার মতো একাই লড়াই চালিয়ে গেছেন অনিক।
তাইজুলের আউটের পর অসুস্থ অবস্থায় খেলতে নামা মমিনুল মাত্র চার বল খেলে শূন্য রানে আউট হয়েছেন। হাসান মাহমুদ করেছেন তিন রান। পেসার তাসকিনও ফিরেছেন শূন্য রানে। আরেক পেসার নাহিদ রানা ব্যক্তিগত এক রানে অপরাজিত থাকার সময় অন্যপ্রান্তে অনিক আউট হয়েছেন ৯১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ খেলেছে ৫৯.৫ ওভার। তাতেই দলীয় সংগ্রহে এসেছে ২৬৮ রান।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দল ১৮ রানের লিড পাওয়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রান। কিন্তু স্পিনার তাইজুল ইসলামের সাথে তিন পেসার হাসান মাহমুদ, তাসকিন আহমেদ ও নাহিদ রানার সম্মিলিত আক্রমণের মুখে ১৮৫ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবীয়দের দ্বিতীয় ইনিংস।
বাংলাদেশের পক্ষে স্পিনার তাইজুল ৫০ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। দু’টি করে উইকেট পেয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ ও তাসকিন আহমেদ। আর গতির ঝোড় তোলা নাহিদ রানা নিয়েছেন এক উইকেট।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ মাত্র ১৬৪ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পরও ম্যাচের বাকিটা সময় ছড়িয়ে ঘুরিয়েছে বাংলাদেশ দল। অবশ্যই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন টাইগার বোলাররা। বিশেষ করে ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংসে নাহিদ রানার গতির ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ক্যারিবীয় ব্যাটিং লাইন আপ। )
স্বাগতিক ব্যাটারদের ১৪৬ রানে অলআউট হওয়ার পর ম্যাচের তৃতীয় ও বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসে টাইগার ব্যাটাররা পরিস্থিতি অনুযায়ী কার্যকরী ইনিংস খেলেছেন। যেখানে সাদমান ইসলাম (৪৬), শাহাদাৎ হোসেন (২৮), অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ (৪২), লিটন দাসের (২৫) পর সবচেয়ে বড় ভূমিকাটা রাখেন জাকের আলী অনিক (৯১)।