বাংলাদেশ অধ্যায়ের অবসান, বিদায় নিলেন পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভা

বাংলাদেশে এক যুগেরও বেশি সময় কাটানোর পর শেষমেশ বিদায় নিতে হচ্ছে পিচ কিউরেটর গামিনি ডি সিলভাকে। মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামের প্রধান কিউরেটর হিসেবে দীর্ঘ সময় দায়িত্ব পালন করলেও, লঙ্কান এই সাবেক ক্রিকেটারকে ঘিরে বিতর্কের শেষ ছিল না। কখনো পিচের মান নিয়ে, কখনো সিদ্ধান্তে—সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি এবং সেই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)ও।

মিরপুর থেকে সরিয়ে কিছুদিন আগে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছিল গামিনিকে। তবে সেখানেও স্থায়ী হতে পারলেন না তিনি। বিসিবি ইতিমধ্যে তার সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করেছে। আগামীকাল (২ নভেম্বর) তিনি হাতে পাবেন চুক্তি বাতিলের আনুষ্ঠানিক কাগজপত্র।

বিসিবির একজন কর্মকর্তা ঢাকা পোস্ট-কে জানিয়েছেন, “গামিনিকে এখনই অব্যাহতি দেওয়া হলেও চুক্তি অনুযায়ী দুই মাসের বেতন দিতে হবে। কারণ, তার মেয়াদ শেষ হতে এখনও ছয় মাস বাকি ছিল। দুই মাসের নোটিশ পিরিয়ডে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে।”

দীর্ঘদিন ধরেই মিরপুরের স্লো এবং স্পিন সহায়ক উইকেট নিয়ে ক্রিকেট মহলে অসন্তোষ ছিল। যদিও গামিনিকে সরিয়ে বিসিবি পুরো দায় এড়াতে পারবে কি না, সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। নতুন দায়িত্ব পাওয়া অস্ট্রেলিয়ান পিচ বিশেষজ্ঞ টনি হেমিংয়ের অধীনেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে একই ধরনের ধীরগতির উইকেটেই খেলেছে বাংলাদেশ।

২০১০ সালে বিসিবির সঙ্গে কাজ শুরু করেছিলেন গামিনি ডি সিলভা। পাকিস্তানের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টি সিরিজে মানহীন উইকেট তৈরির পর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আরও জোরালো হয়। পাকিস্তান দলের কোচ ও অধিনায়ক প্রকাশ্যে সমালোচনা করেন মিরপুরের উইকেট নিয়ে। এরপরই বিসিবি পদক্ষেপ নেয় এবং ১৫ বছর পর তাকে মিরপুর থেকে সরিয়ে রাজশাহীতে পাঠায়।

এদিকে, গত আগস্টে বিসিবির টার্ফ ম্যানেজমেন্ট বিভাগের প্রধান হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন অস্ট্রেলিয়ান টনি হেমিং, যিনি পূর্বে সিলেটের উইকেট তৈরি করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। এবার তাকে হোম অব ক্রিকেটের পিচ ব্যবস্থাপনা এবং স্থানীয় কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড।

Exit mobile version