জিতলেই প্লে-অফ নিশ্চিত! তবে হারলেও সুযোগ থাকবে! এমন সমিকরণ নিয়ে বিপিএলের ৩৩তম ম্যাচে সিলেটের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। আর সিলেটের জন্য ম্যাচটি ছিল নিয়ম রক্ষার! তাই জয় পরাজয়ে কিছুই পাওয়ার ছিল না তাদের।
এমন ম্যাচে বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে মিরপুরে প্রথম ব্যাটিংয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট স্ট্রাইকার্স। কিন্তু না! বরিশালের বিপক্ষে বড় স্কোর গড়তে পারেনি তারা। এদিন বরিশালের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই ধুকতে থাকে সিলেটের দলটি।
বল হাতে পাকিস্তানের পেসার ফাহিম আশরাফ জ্বলে উঠেন আপন শক্তিতে। বলতে গেলে এই পাকিস্তানের পেসার একাই গুটিয়ে দেন সিলেটে ব্যাটিং লাইনআপ! মাত্র ৩.১ ওভারে বোলিং করে সাত রানে শিকার করেন ৫ উইকেট। এছাড়া রিপন মন্ডল ও জেমস ফলার দুটি করে উইকেট নেন।
ব্যাট হাতে সিলেটের পক্ষে আহসান ভাট্টি ২৮ ও জাকের আলী ২৪ রান করেন। এছাড়া অধিনায়ক আরিফুল হক ১২ ও তানজিম হাসান সাকিব নেন ১৩ রান। শেষ পর্যন্ত ১৮.১ ওভারে ১১৬ রানে গুটিয়ে যায় সিলেটের ইনিংস।
জবাবে ১১৭ রানের সহজ লক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই ওপেনার তাওহিদ হৃদয়কে হারায় বরিশাল। তামিম ইকবালের সঙ্গে জুটি গড়ে দলীয় ২২ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৬ রান করে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। এরপর অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন ডেভিড মালান।
কিন্তু না! মালান ৮ বলে মাত্র ৯ রান করে ফেরেন সুমন খানের বলে। এরপর অধিনায়ক তামিম টি-টোয়েন্টি থেকে বেড়িয়ে ওয়ানডে ফর্মেটে ব্যাটিং শুরু করেন। তাকে সঙ্গ দেন জাতীয় দলের আর এক অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
এরপর আর কোন উইকেট হারায়নি তারা। দুই অভিজ্ঞ তারকার ব্যাটে ১৬ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে ১২০ তুলে নেয় চ্যাম্পিয়নরা। তামিম ৫১ বলে ছয় বাউন্ডারিত অপরাজিত ৫২ রান করেন। আর মুশফিক ৩০ বলে চার বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় অপরাজিত ৪২ রান করেন।
ফলে ২৪ বল হাতে রেখেই ৮ উইকেটের বড় জয়ে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিপিএলর শেষ চারে জায়গা করে নিল শিরোপা প্রত্যাশীরা। ৯ ম্যাচে ৭ জয়ে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বরিশাল।