গ্রুপ পর্বের খেলা। যেখানে শিরোপার রেসে টিকে আছে আর কেবল চারটি দল। তবে বিপিএলের গ্রপ পর্বে ব্যাট-বলে ঝড় তুলে এবার নজর কেড়েছে জাতীয় দলের এক ঝাক তরুণ ক্রিকেটার।
বিপিএলের শিরোপা ধরে রাখতে মরিয়া তামিম ইকবালর ফরচুন বরিশাল। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দলটি এবারও সবাইকে ছাড়িয়ে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে! বরিশালের পর সবচেয়ে বড় চমক দেখিছে চিটাগং কিংস।
গ্রুপ পর্বে সবশেষ ম্যাচে বরিশালকে হারিয়ে সেরা দুইয়ে উঠে এসেছে দলটি। আর গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে ঢাকা,রাজশাহী, ও সিলেট স্ট্রাইকার্স।
তবে শিরোপার লড়াইয়ে টিকে না থাকলেও বিপিএলে এখনও ব্যাট বলে শীর্ষে দুর্বার রাজশাহী ও ঢাকা ক্যাপিটালস। ঢাকার ব্যাটার তানজিদ হাসান তামিম রয়েছেন ব্যাট হাতে সবার ওপরে। ১২ ম্যাচে ১৪১.৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৪ গড়ে ৪৮৫ রান নিয়ে শীর্ষে জাতীয় দলের তরুণ এই ওপেনার ব্যাটার।
এক সেঞ্চুরি ছাড়াও চারটি হাফসেঞ্চুরি আছে তার। সমান ম্যাচে ৪৪৪ রান নিয়ে দুইয়ে অবস্থান করছেন খুলনা টাইগার্সের ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ! ৪০.৩৬ গড়ে ১৪৮ স্ট্রাইক রেটে এক সেঞ্চুরি ও তিন ফিফটিতে এ রান করেন তিনি।
তালিকায় তিনে অবস্থান করছেন রাজশাহীর ব্যাটার এনামুল হক বিজয়। ১২ ম্যাচে ৩৯ স্ট্রাইক রেটে ৩৯২ রান করেন তিনি। বিপিএলে এক সেঞ্চুরি ও দুটি হাফসেঞ্চুরি রয়েছে তার।
ব্যাট হাতে চারে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ব্যাটার জাকির হাসান। ১২ ম্যাচে ৩৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৮৯ রান করেন তিনি। এছাড়া ব্যাট হাতে পাঁচ নম্বরে অবস্থান করছেন গ্রাহাম ক্লার্ক। চিটাগং কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ৩৪.২৭ স্ট্রাইক রেটে তিন ফিফটিতে ৩৭৭ রান করেছেন তিনি।
বল হাতে সবার ওপরে জাতীয় দলের পেসার ও দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ। গ্রুপ পর্বে ১২ ম্যাচে ২৫ উইকেট নিয়ে সেরাদের সেরা। তালিকায় ১১ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে বরিশালের পেসার ফাহিম আশরাফ।
১০ ম্যাচে ১৯ উইকেট নিয়ে তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছেন রংপুর রাইডার্সের আকিভ যাভেদ। চার নম্বরে আছে বাংলাদেশের আর এক পেসার খালিদ আহমেদ। চিটাগং কিংসের হয়ে ১১ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে চার নম্বরে অবস্থান করছেন তিনি।
পাঁচ নম্বরে আছেন রংপুর রাইডার্সের খুশদিল শাহ। তিনি ১০ ম্যাচে ১৭ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ১০ ম্যাচে ১৭ উইকেট নিয়ে ছয়ে খুলনা টাইগার্সের আবু হায়দার রনি।