বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) সাম্প্রতিক আসরে স্পট ফিক্সিংয়ের তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এক ফ্র্যাঞ্চাইজিকে নির্দিষ্ট একটি ম্যাচ হারের জন্য ৪০০ কোটি টাকার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তদন্ত কমিটি নিশ্চিত করতে পারেনি ফ্র্যাঞ্চাইজিটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছে কি না। তবে বিস্ময়করভাবে, তারা জুয়াড়িদের কাছ থেকে প্রাপ্ত এই প্রস্তাব বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে জানায়নি, এবং ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত হেরে যায়।
প্রথম আলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ সালের বিপিএলের স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রাথমিক রিপোর্ট প্রায় প্রস্তুত। সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি ৩০০ ঘণ্টার অডিও রেকর্ডিং এবং তিন হাজার পৃষ্ঠার লিখিত নথি বিশ্লেষণ করেছে। আগামী সপ্তাহে এই রিপোর্ট বিসিবি সভাপতির কাছে জমা দেওয়ার কথা।
প্রাথমিকভাবে কমিটি ৩৬টি সন্দেহজনক ঘটনা চিহ্নিত করেছে। এর মধ্যে ১০-১২ জন ক্রিকেটারের নাম এসেছে, যাদের মধ্যে ৩-৪ জনকে ‘হাই ফ্ল্যাগড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছেন জাতীয় দলের এক পেসার ও এক অফস্পিনার, এছাড়া শ্রীলঙ্কা সফরের একজন খেলোয়াড় এবং একটি ফ্র্যাঞ্চাইজির কোচও রয়েছে। তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজি—দুর্বার রাজশাহী, সিলেট স্ট্রাইকার্স ও ঢাকা ক্যাপিটালস—সরাসরি অভিযুক্ত হয়েছে।
তদন্তে আরও উঠে এসেছে, শুধু সর্বশেষ আসর নয়, গত পাঁচ বিপিএলে ১৪০টিরও বেশি সন্দেহজনক ঘটনা ঘটেছে। এতে স্থানীয় ও বিদেশি খেলোয়াড় মিলিয়ে ৬০-এর বেশি ব্যক্তি জড়িত।
কমিটি স্পট ফিক্সিংয়ের সঙ্গে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্ভাব্য জড়িত থাকার ইঙ্গিতও পেয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, অনলাইন বেটিংয়ের বিজ্ঞাপন চালিয়ে কিছু প্রতিষ্ঠান ১৭০-১৮০ কোটি টাকা আয় করেছে। সন্দেহভাজন এজেন্টরা করপোরেট বক্সে বসে খেলা দেখার অভিযোগও পাওয়া গেছে।
প্রাথমিক রিপোর্টে বিসিবিকে দুর্নীতি দমন ইউনিট পুনর্গঠনের সুপারিশ থাকছে। পাশাপাশি অনলাইন বেটিং নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন সংস্কার বা নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাবও থাকবে, যাতে বিসিবি নিজস্বভাবে ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়।
সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩
















