রাত পোহালেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর প্লেয়ার্স ড্রাফট। এনিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের উত্তেজনার পারদ যেন তুঙ্গে। দলগুলো তাদের পছন্দের ক্রিকেটারদের আগেভাগেই দলে টানার সুযোগ পেয়েছে। একের পর এক চমক নিয়ে আসছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো, যেই চমকের ঝলক ইতিমধ্যেই দেখেছে সবাই।
নবাগত ঢাকা ক্যাপিটালস দলে টেনেছে বিপিএলের তারকা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানকে! মুস্তাফিজকে নিয়ে ঢাকার স্বপ্ন যেন আকাশ ছুঁয়েছে। আর তার সঙ্গেই দলে ভিড়িয়েছে তরুণ আগ্রাসী ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমকে। ক্রিকেটের নতুন চমক, নতুন প্রতিভা—এবার ঢাকার হয়ে মাঠ কাঁপাবে!
চিটাগং কিংসও বসে নেই, দলটিতে যোগ দিয়েছেন দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান! শরিফুল ইসলামের মতো প্রতিশ্রুতিশীল পেসারও রয়েছেন দলে। চিটাগং যেন প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছে, দীর্ঘদিন পর বিপিএলে ফিরেই শিরোপার লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তাঁরা।
ফরচুন বরিশাল তাদের চ্যাম্পিয়ন অধিনায়ক তামিম ইকবালকে রেখে দিয়েছে এবং দলের দায়িত্বভার এবারও তার কাঁধেই। মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ সৈনিককেও দলে ধরে রেখেছে তাঁরা। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে দলে আছেন তরুণ তাওহীদ হৃদয়, যিনি এবার বরিশালের হয়ে মাঠ মাতাবেন। বরিশালের ভক্তরা যেন আর ধৈর্য্য ধরতেই পারছে না!
সিলেট স্ট্রাইকার্সও ছক্কা মেরেছে! তানজিম হাসান সাকিব আর জাকির হাসানকে রিটেইন করে নিয়ে এসেছে সিলেটের প্রতিভা জাকের আলী অনিককে। পুরো সিলেট যেন জয়ের মন্ত্রে মগ্ন!
খুলনা টাইগার্সের নজর ছিল কৌশলে। নাসুম আহমেদ ও আফিফ হোসেন ধ্রুবকে রেখে মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে এসে খুলনা যেন সিংহের মতো গর্জন করছে। অন্যদিকে রংপুর রাইডার্সও চমক দেখিয়েছে—নুরুল হাসান সোহান ও শেখ মেহেদীকে রেখে সরাসরি দলে নিয়েছে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনকে। মাঠে রংপুরের প্যাশন যেন দেখার মতো হবে!
আর দুর্বার রাজশাহী! তারা এনেছে এনামুল হক বিজয়কে, সাথে তরুণ আগ্রাসী ব্যাটার জিসান আলমকে। রাজশাহীর দলেও যে ভয়ংকর কিছু হতে চলেছে, সেটা নিশ্চিত!
১৪ অক্টোবরের ড্রাফট কোনো উৎসবের চেয়ে কম হবে না! ১৮৮ জন দেশি তারকা, ৪৪০ জন বিদেশি ক্রিকেটারের ভিড়ে কোন ক্রিকেটার যাবে কোন দলে—এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন! দেশি-বিদেশি সব তারকাদের নিয়ে জমজমাট এই আসর দেখার অপেক্ষায় সবাই অধীর হয়ে আছে। বিপিএলের ১১তম আসর যে এবার নতুন উত্তেজনা, নতুন উন্মাদনা নিয়ে আসছে, সেটা বলাই বাহুল্য!