বিপিএল সামনে রেখে ফিক্সিং ইস্যুতে বিসিবি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অবস্থান দুই মেরুতে

বিপিএল শুরুর আগেই নতুন করে আলোচনায় এসেছে ফিক্সিং ইস্যু। সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে এবার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়।

ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া যেখানে সন্দেহভাজনদের টুর্নামেন্টে নিষিদ্ধ করার পক্ষে, সেখানে বিসিবির অবস্থান সম্পূর্ণ ভিন্ন—দোষ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত কাউকেই অপরাধী হিসেবে দেখা যাবে না।

সবশেষ বিপিএল আয়োজন করতে গিয়ে নানা সমালোচনায় পড়েছিল বোর্ড। ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক বকেয়া থাকা, মানসম্মত বিদেশি খেলোয়াড়ের ঘাটতি, এমনকি মাঠের ঘটনার মধ্যেও উঠে আসে ফিক্সিংয়ের গন্ধ। অভিযোগ উঠতেই বিসিবি গত ফেব্রুয়ারিতে তিন সদস্যের একটি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করে।

তদন্ত শেষে কমিটি ৯০০ পৃষ্ঠার রিপোর্ট জমা দিলেও এখনো সুরাহা হয়নি কিছুই। ফাইলটি পৌঁছেছে অ্যালেক্স মার্শালের হাতে, আর তদন্ত শেষ না হওয়ায় সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি বিসিবি। তারা জাতীয় লিগে যেমন খেলছেন, আসন্ন বিপিএলেও সুযোগ পাচ্ছেন।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ও বিসিবি পরিচালক ইফতেখার রহমান মিঠু বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাউকে দোষী বলব না। অ্যান্টি করাপশন ইউনিট যেভাবে কাজ করে, আমরা একই নিয়মে এগোব।”

তবে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য একেবারেই ভিন্ন। ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানিয়েছেন, ফিক্সিংয়ের অভিযোগে থাকা ক্রিকেটার বা কোচদের বিপিএলে সুযোগ না দিতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ আছে এবং প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে, তাদের বিরুদ্ধে বিপিএল শুরু হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ফিক্সারদের নিয়ে বিপিএল হবে না।”

আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পাঁচ দল নিয়ে মাঠে গড়াবে বিপিএলের ১২তম আসর। এর আগে ১৭ নভেম্বর হবে প্লেয়ার্স ড্রাফট। কিন্তু সন্দেহভাজন ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণ নিয়ে বিসিবি ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের এই ভিন্ন অবস্থান টুর্নামেন্টের আগেই নতুন শঙ্কা তৈরি করেছে।

Exit mobile version