বিপিএল সূচিতে পরিবর্তন – নিলামের নতুন তারিখ ঘোষণা
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের ( বিপিএল ) নতুন মৌসুমকে সামনে রেখে আবারও বদল এলো খেলোয়াড় নিলামের তারিখে। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে বিপিএলের সম্ভাব্য সূচি ঘোষণা করেছিল গভর্নিং কাউন্সিল, যেখানে বলা হয় ১৯ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৬ জানুয়ারি ফাইনালের মাধ্যমে শেষ হতে পারে টুর্নামেন্টের ১২তম আসর। তবে প্রস্তুতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হচ্ছে খেলোয়াড় নিলাম। নানা পরিবর্তনের পর এবার নিলাম চূড়ান্ত হলো ৩০ নভেম্বর।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল শুরুর পরিকল্পনায় জানিয়েছিল, চলতি মাসের ১৭ তারিখেই বসবে নিলাম। পরে সেটি পিছিয়ে ২১ নভেম্বর করা হয়। এরপর আরও একবার বদল এনে তারিখ ঠিক হয় ২৩ নভেম্বর। শেষ পর্যন্ত আবারও পরিবর্তিত হয়ে সেই নিলাম গড়াচ্ছে এক সপ্তাহ পর। বুধবার (১৯ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিসিবি নিশ্চিত করেছে, র্যাডিসন ব্লুর গ্র্যান্ড বলরুমে বেলা ৩টায় শুরু হবে ‘বিপিএল প্লেয়ার্স’ অকশন ২০২৬’।
এবারের বিপিএলে ফ্র্যাঞ্চাইজি কাঠামোতে এসেছে পরিবর্তন। বসুন্ধরা গ্রুপের টগি স্পোর্টস পেয়েছে রংপুর রাইডার্সের মালিকানা, ট্রায়াঙ্গাল সার্ভিসের হাতে গেছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। নাবিল গ্রুপ পেয়েছে রাজশাহী ওয়ারিয়রস, ক্রিকেট উইথ সামি পরিচালনা করবে সিলেট টাইটানস আর ঢাকা ক্যাপিটালসের মালিকানা পেয়েছে চ্যাম্পিয়ন স্পোর্টস (রিমার্ক-হারল্যান)।
বিসিবি জানিয়েছে, সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সমন্বয় নিশ্চিত করতে এবং নিলামকে আরও সুশৃঙ্খলভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নিতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন ছিল। তাই নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
গত আসর আয়োজন করতে গিয়ে নানা ঝামেলার মুখে পড়তে হয়েছিল বোর্ডকে। খেলোয়াড়দের পাওনা পরিশোধ বিতর্ক, স্পট-ফিক্সিং ইস্যু থেকে শুরু করে ফ্র্যাঞ্চাইজি বণ্টনের অভিযোগ ,সবকিছুই আলোচনায় আসে। এবার তাই শুরু থেকেই কঠোর অবস্থানে বিসিবি। ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে ২ কোটি টাকার মালিকানা ফি’র সঙ্গে ১০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি জমা দেওয়ার নিয়ম বেঁধে দিয়েছে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের নেতৃত্বাধীন বোর্ড।
এখানেই দেখা দিয়েছে নতুন জটিলতা
দু’বার সময় বাড়ানো সত্ত্বেও একটি ফ্র্যাঞ্চাইজি ব্যাংক গ্যারান্টির অর্থ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। যারা জমা দিয়েছে, তাদের দুই প্রতিষ্ঠান দিয়েছে অর্ধেক পরিমাণ গ্যারান্টি ফান্ড। তবে বিসিবি মনে করছে, এগুলো ‘নিরাপদ টাকা’। তাই চারটি প্রতিষ্ঠানের অংশগ্রহণ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তা নেই।
যে ফ্র্যাঞ্চাইজি গ্যারান্টির টাকা জমা দিতে পারেনি, তাদের মালিকানা নিয়ে নতুন পরিকল্পনা শুরু করেছে বোর্ড। পূর্বে আগ্রহ দেখানো প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে কাউকে মালিকানা দেওয়া হতে পারে। প্রয়োজন হলে বিসিবি নিজেই অন্তর্বর্তী মালিকানা হিসেবে দল পরিচালনার দায়িত্ব নিতেও পারে।
বিপিএলের ১২তম আসরের দলগঠন নিলামনির্ভর হওয়ায়, ৩০ নভেম্বরের অকশনকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে দেখছে বিসিবি এবং দলগুলো। বাজেট, কৌশল ও পছন্দের ক্রিকেটার সব মিলিয়ে স্কোয়াড পরিকল্পনা তাই নতুন তারিখ মাথায় রেখেই সাজাচ্ছে সব ফ্র্যাঞ্চাইজি। নির্ধারিত দিনে দলগুলোর প্রতিনিধি, স্পনসর, পার্টনার এবং গণমাধ্যমকর্মীদের স্বাগত জানাতেও প্রস্তুত টুর্নামেন্ট কর্তৃপক্ষ।
