টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁদিয়ে ছেড়েছিল নেদারল্যান্ডস। ওয়ানডে বিশ্বকাপেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এবারো প্রোটিয়াদের কাঁদালো নেদারল্যান্ডস। তাদেরকে ৩৮ রানে হারিয়ে নেদারল্যান্ডস এবারের বিশ্বকাপেও অঘটন ঘটিয়েছে। ২৪৬ রানে জয়ের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে ২০৭ রানে আটকে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃষ্টির কারণে কার্টেল ওভারের ম্যাচ। ৪৩ ওভার করে খেলা। দক্ষিণ আফ্রিকার শক্তিশালী বোলিং আক্রমণ সামলে ৮ উইকেটে ২৪৫ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করে নেদারল্যান্ডস।
ধর্মশালার হিমাচল প্রদেশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এই ম্যাচে বৃষ্টির কারণে যথাসময়ে টস অনুষ্ঠিত হয়নি। শেষ পর্যন্ত একঘণ্টা বিলম্বে টস হলেও ম্যাচ মাঠে গড়াতে সময় চলে যায় দুই ঘণ্টারও বেশি। ফলে ওভার কমিয়ে দেওয়া হয় ৭টি করে। টস জিতে নেদারল্যান্ডসকে ব্যাটিং করার আমন্ত্রণ জানান প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। ২৭ ওভারে ১১২ রান তুলতে ৬ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ডাচরা। সেখান থেকে তারা দাঁড় করায় ২৪৫ রানের পুঁজি, ৪৩ ওভারেই!
নেদারল্যান্ডসকে এই বড় রান এনে দেওয়ার কারিগর অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডস। ৬৯ বলে ১০ চার আর ১ ছক্কায় ৭৮ রানের হার না মানা এক ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া শেষদিকে রয়্যালফ ফন ডার মারউই ১৯ বলে ২৯ আর আরিয়ান দত্ত ৯ বলেই ৩ ছক্কায় খেলেন অপরাজিত ২৩ রানের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার লুঙ্গি এনগিদি, মার্কো জানসেন আর কাগিসো রাবাদা নেন দুটি করে উইকেট।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা কখনোই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করতে পারেনি। বরং নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারা। লোগান ভ্যান বিক তিন উইকেট পান। এছাড়া পল ভ্যান মিকেরেন, রোয়েলফ ভ্যান ডার মারউই, বাস ডি লিডি প্রত্যেকে দুটো করে উইকেট পেয়েছেন। তাদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার কোনো ব্যাটারই স্বস্তি নিয়ে ব্যাট করতে পারেননি। ব্যতিক্রম ছিলেন ডেভিড মিলার। কিন্তু তিনি ব্যক্তিগত রানকে বেশি দূর টেনে নিতে পারেননি। ৪৩ রানে শেষ হয়ে যায় তার ইনিংস। আর শেষ দিকে কেশব মহারাজ করেছেন ৪০ রান। ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেও দলের হার রোধ করতে পারেননি তিনি। কেশব মহারাজ ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস না খেললে দক্ষিণ আফ্রিকার হারটা আরো বড় ব্যবধানে হতো।