নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপে জয় দিয়ে সূচনা করলেও ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারছে না বাংলাদেশ। টানা দ্বিতীয় হারের মুখে পড়ল নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লড়াই করে হারলেও, শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই লড়াইয়ের ছিটেফোঁটাও দেখা যায়নি। কিউই মেয়েদের ২২৮ রানের লক্ষ্য তাড়ায় মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ, ফলে ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরে মাঠ ছাড়ে জ্যোতির দল।
এই পরাজয়ের পর স্বাভাবিকভাবেই ব্যাটারদের ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ম্যাচ-পরবর্তী প্রেজেন্টেশনে জ্যোতি বলেন,
“আমরা আগের ম্যাচে ভালো যা কিছু করেছি, সেটা পুনরায় করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে আমরা ধারাবাহিক নই। যখন ২০০ রানের বেশি লক্ষ্য তাড়া করতে হয়, তখন টপ অর্ডারদেরই ভালো করতে হয়— নইলে জেতা কঠিন। প্রথম ইনিংসে আমরা ভালো বল করেছি। তবে মারুফার (আক্তার) কাছ থেকে যেটা আশা করেছিলাম, সেটা পাইনি। অন্য বোলাররা দারুণ বল করেছে।”
বাংলাদেশের স্পিনাররা যথারীতি নিয়ন্ত্রিত বোলিং করলেও সোফি ডিভাইন ও ব্রুক হ্যালিডের ১১২ রানের জুটি ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। জ্যোতির কণ্ঠে তাই আক্ষেপ,
“স্পিনাররা তাদের কাজ করেছে ঠিকই, কিন্তু ৩০ ওভার পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণে রাখার পর ওরা শট খেলতে শুরু করে, আর আমরা বেশি বাউন্ডারি দিয়েছি। পরিকল্পনা ছিল বোলাররা সঠিক জায়গায় বল ফেলবে, যাতে ওরা সহজে শট না খেলতে পারে। তবে তারা অভিজ্ঞ খেলোয়াড়, সেটি কাজে লাগিয়ে খেলে গেছে।”
পরাজয়ের পরও শিক্ষাগ্রহণের বিষয়টি জোর দিয়ে বলেছেন অধিনায়ক,
“এখান থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। ভালো দলীয় রান তুলতে লোয়ার মিডল অর্ডারের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদেরও সেটা শিখতে হবে। আইসিসি ইভেন্টে ভালো পারফরম্যান্স না করলে বড় দলগুলোর বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্ভব নয়। অভিজ্ঞতারও ঘাটতি আছে আমাদের।”
এখনও সেমিফাইনাল আশা বাঁচিয়ে রাখতে বাংলাদেশের হাতে চারটি ম্যাচ বাকি। জ্যোতি জানালেন, ব্যাটিংয়ে ধারাবাহিকতা আনাই এখন প্রধান লক্ষ্য,
“আমাদের স্বাভাবিক খেলাই প্রয়োজন, কিন্তু সেটা আমরা নিজেদের শক্তি হিসেবে কাজে লাগাতে পারিনি। বোলাররা ভালো করছে, ওরা দলের জন্য কাজটা ঠিকই করছে। আশা করি, সামনেও ওরা সেটা ধরে রাখবে। এখন ব্যাটিং ইউনিটকে নিজেদের ভুল শুধরে ফেরার চেষ্টা করতে হবে।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















