১২০ রানের টার্গেটে ১২ ওভার শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৭২ রান। জয়ের জন্য ৪৮ বলে প্রয়োজন আরও ৪৮ রান। হাতে আছে ৮ উইকেট। এই অবস্থায়ও ম্যাচটা হেরে যাওয়া পাকিস্তানের পক্ষেই কেবল সম্ভব! সে আশঙ্কা সত্যি প্রমাণ করলো বাবর আজমের দল। ম্যাচটা হারলো ৬ রানে। একইসাথে টানা দুই ম্যাচ হেরে বিশ্বকাপ থেকে প্রায় ছিটকে গেলো ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বোলারদের কল্যাণে ভারতের লম্বা ব্যাটিং লাইন-আপকে ১১৯ রানে ধসিয়ে দেয়ায় ভক্তরা আশায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রথম ম্যাচে হারলেও এই ম্যাচ জিতে সুপার এইটে খেলার আশা বাঁচিয়ে রাখবে টিম পাকিস্তান। কিন্তু সে গুড়েবালি। ‘সহজ ম্যাচ কিভাবে হারতে হয়’ এটা আবারও দেখালো গত আসরের ফাইনালিস্টরা।
অথচ ১২০ রানের টার্গেটে বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের উদ্বোধনী জুটি দেখেশুনেই শুরু করেছিলেন। ২৬ রান করার পরই ছন্দ পতন। ১৩ রানে ফিরলেন বাবর, জসপ্রিত বুমরার বলে সূর্যকুমার যাদবের হাতে ক্যাচ দিয়ে। পাকিস্তানের পরের দুই ব্যাটার উসমান খান ও ফখর জামানও ১৩ রান করে আউট হয়েছেন।
দলীয় ৭৩ রানে তিন উইকেট হারানোর পরও দলের ভরসা হয়ে ছিলেন রিজওয়ান। কিন্তু বুমরার করা ১৫তম ওভারের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে যান রিজওয়ান। ৮০ রানে চার উইকেট হারানোর পর ৩৫ বলে জয়ের জন্য পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিলো ৪০ রান। ছয় উইকেট নিয়ে এই রান টপকে যাওয়া খুব কঠিন কিছু ছিলো না নিশ্চয়ই।
বলের সাথে পাল্লা দিয়ে আস্কিং রান রেট বেড়ে যাওয়ার পর শেষ দুই ওভারে ২১ রানের প্রয়োজন হলেও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা তা তুলতে পারেননি। শেষ তিন বলে ১৬ রানের প্রয়োজন হলে নাসিম শাহ পর পর দুটি বাউন্ডারি হাকালেও তা যথেষ্ঠ ছিলো না।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ছয় রানে হেরে টুর্নামেন্ট থেকেই ভারতের বিদায় ঘন্টা বাজলো।
চার ওভারে ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন জসপ্রিত বুমরা।