গ্রানাডার সেন্ট জর্জের ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে শততম টেস্ট ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। মাইলফলক স্পর্শ করা ম্যাচটি বিষাদে রুপ নিয়েছে তার জন্য। উভয় ইনিংসে (০ ও ৭ রান) তার ব্যাট যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি অস্ট্রেলিয়ার পেস বোলিংয়ের বিপরীতে দাড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দলের ব্যাটাররা। চতুর্থ দিনেই ১৩৩ রানে হেরেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। আর দুই ম্যাচের সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জিতে নিয়েছে অজিরা।
দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে ২৮৬ রান করা অস্ট্রেলিয়া নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৪৩ রান। স্টিভ স্মিথের দায়িত্বশীল ৭১ রানের ইনিংসে ভর করে ২৭৭ রানের লিড দাঁড় করায় স্বাগতিকরা। জবাবে ২৭৮ টার্গেটে খেলতে নেমে ৩৪.৩ ওভারেই ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এর আগে, ৭ উইকেটে ২২১ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে আবারও ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া। অ্যালেক্স ক্যারি ২৬ ও প্যাট কামিন্স ব্যক্তি ৪ রান নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাটিংয়ে নামেন। কিন্তু বেশিদূর যেতে পারেনি সফরকারীদের ইনিংস। ২৪৩ রানেই শেষ হয় তাদের ইনিংস। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানের লিড থাকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের টার্গেট দাঁড়ায় ২৭৭ রান।
জবাবে খেলতে নেমে, শুরুতেই শূন্য রানে আউট হন জন ক্যাম্পবেল। জশ হ্যাজলউডের নিখুঁত ডেলিভারিতে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন জন ক্যাম্পবেল। বেশি সময় টিকতে পারেননি ব্রাথওয়েটও। প্রথম ইনিংসে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন মাত্র ৭ রান। বিউ জ্যাকব ওয়েবস্টারের বলে উইকেটরক্ষক কেরির গ্লাভসে ধরা পড়েন তিনি।
এরপর কেসি কার্টিকে ৩ রানে ফেরান মিচেল স্টার্ক। উইকেট পতনের ধারা চলতেই থাকে। মধ্যাহ্ন বিরতের আগে ঠিক আগে ফিরে যান ব্র্যান্ডন কিং, যিনি এর আগে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে জীবন পেয়েছিলেন। এবার তিনি প্যাট কামিন্সের দুর্দান্ত ইনসুইংয়ে বোল্ড হন।
বাকি ব্যাটাররাও দাঁড়াতে পারেননি। জেসন চেইস ৩৪ রান করলেও তা দলের পরাজয় ঠেকাতে যথেষ্ট ছিল না।
অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মিচেল স্টার্ক ও নাথান লিওন তিনটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন। দুই উইকেট পেয়েছেন জশ হ্যাজলউড। একটি করে উইকেট পেয়েছেন প্যাট কামিন্স ও তিনটি করে স্টার্ক ২৪ রানে তিন উইকেট নেন। এছাড়া দুটি করে উইকেট তুলে নিয়েছেন প্যাট কামিন্স ও জ্যাকব ওয়েবস্টার।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















