রোমাঞ্চ আর উত্তেজনার মধ্য দিয়ে ভারতকে কাঁদিয়ে এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। জমজমাট এশিয়া কাপের ফাইনালে মাত্র ১৮৮ রান করেই অবিশ্বাস্য বোলিংয়ে দ্বিতীয়বারের মতো এশিয়ার মুকট জয় করলো বাংলাদেশে যুবারা।
দুবাইয়ে শিরোপা জয়ের মিশনে এদিন অবশ্য আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি যুবা টাইগারদের।
স্কোরবোর্ডে ১৭ রান যোগ করতেই কালাম সিদ্দিকীর উইকেট হারায় তারা। মাত্র ১ রান করেন তিনি। দলীয় ৪১ রানের মাথায় ২০ রান করে জাওয়াদ আবরার বিদায় নেন চেতন শার্মা। দারুণ ফর্মে থাকা অধিনায়ক আজিজুল হাকিম তামিমও টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ১৬ রান করেই তাকে বিদায় নিতে হয়।
তবে চতুর্থ উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ শিহাব জেমস ও রিজান হোসেন দলের হাল ধরেন। দলীয় ১২৮ রানে ৪০ রান করে সাজঘরে ফেরেন শিহাব। এরপর দেবাশীষ ১ করেই ফেরেন।
তবে ৩ রানের জন্য রিজান মিস করেছেন হাফ-সেঞ্চুরি। ৬৫ বল খেলে করেছেন ৪৭ রান। এরপর সামিউন ৪ ও আল ফাহাদ ১ রান ফেরেন। ফলে ৫ বল বাকি থাকতেই থামে বাংলাদেশের ইনিংস। ভারতের হয়ে যুবাজিৎ, চেতন শার্মা ও হার্দিক রাজ নেন দুটি করে উইকেট। ৪৯.১ ওভারে ১৮৮ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।
ভারতকে ছোট রানের টার্গেট দিয়ে বল হাতে জ্বলে উঠেন বাংলাদেশের পেসাররা। ইনিসের শুরুতেই ভারতের ওপেনার আয়ুশ মহাত্রার উইকেট উড়িয়ে দেন পেসার আল ফাহাদ।
এরপর রিজান হোসেন সঙ্গে বোলিংয়ে জ্বলে উঠেন ইমন। তাদের অসাধারণ বোলিংয়ে দলীয় ১০০ রানের আগেই ৭ উইকেট হারায় ভারত। বাংলাদেশের দুর্দান্ত বোলিংয়ে কাঁপতে থাকে ভারতের ব্যাটাররা।
একে একে বিদায় নেন বৈভব ৯, সিদ্ধার্থ ২০, মোহাম্মদ আমান ২৬, কেপি কার্তিকেয়া ২১ ও নিখল কুমা ০ রানে। এরপর অধিনায়ক তামিমও বল হাতে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠেন। শেষ পর্যন্ত ১২৪ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে মহা বিপদে পড়ে ভারত। ফলে ৩৫.২ ওভারে ১৩৯ রানে গুটিয়ে যায় ভারত।
ফলে ৫৯ রানে ভারতকে হারিয়ে এশিয়া সেরা বাংলােদেশ। বল হাতে অধিনায়ক তামিম ও ইমন তিনটি করে উইকেট নেন। এছাড়া আল ফরিদ নেন দুটি উইকেট।