সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ ঘিরে একটা উত্তেজনার আবহাওয়া তৈরি হয়েছে। আজ পুনেতে টস জয়ের পর বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে সেই উত্তেজনার আভাস ঠিকই দেখা দিয়েছিল। তানজীদ হাসান ও লিটন দাসের ব্যাটিং ঘিরে সমর্থকদের মন স্বপ্ন বুনতে শুরু করেছিলো। শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ অবশ্য শুরুর গতিটা ধরে রাখতে পারেনি। তাইতো বাংলাদেশের ইনিংস ৮ উইকেটে ২৫৬ রানে শেষ হয়েছে।
তানজীদ হাসান ও লিটন দাসের শুরুটা ছিল অসাধারণ। ভারতীয় বোলারদের অবাক করে দিয়ে চার-ছয়ের ফুলঝুড়ি ছিটিয়ে চলছিলেন এই দুই ওপেনার। ফলে রানের চাকা ঘুরছিল দ্রুত গতিতে। ১০ ওভারেই তারা স্কোর বোর্ডে ৬৩ রান যোগ করেছিলেন। বিনা উইকেটে আশি থেকে ৯০ ছাড়িয়েছিল। স্বপ্ন তখন বিনা উইকেটে ১০০ রান। ঠিক তখনই একটা ধাক্কা। তানজীদ তামিম এলবিডব্লিউ হয়ে যান কুলদ্বীপ যাদবের বলে। ৪৩ বলে ৫১ রান করেন তিনি। পাঁচটি বাউন্ডারির পাশাপাশি তিনটি ওভার বাউন্ডারি ছিল তার ইনিংসে।
তানজীদকে আউট করার মধ্য দিয়ে ভারত বাংলাদেশ ইনিংসের ছিদ্রটা চিনে ফেলে। আর তাইতো ছোট্ট একটা ঝড় বয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংসে। নতুন ব্যাটার ও অধিনায়ক নাজুমল হোসেন শান্ত আউট হয়ে যান মাত্র ৮ রানে। মেহেদী হাসান মিরাজ তাকে অনুসরণ করতে সময় নেননি। ১৩ বলে তিন রান করে ফিরে যান তিনি। কিছু সময় বাদে লিটন দাসও রণে ভঙ্গে দেন। ৮২ বলে ৬৬ রান করেন তিনি সাত বাউন্ডারিতে।
মাত্র ৪৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারিয়ে যখন দল ধুকছিল তখন হাল ধরার চেষ্টা করেন তৌহিদ হৃদয় ও মুশফিকুর রহিম। তবে বেশিক্ষণ লড়াই চালাতে পারেননি হৃদয়। ৪২ রানের জুটি গড়ে বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১৬ রানে।
অবশেষে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে একটা ভালো জুটি উপহার দেন মুশফিকুর। ৪৬ বলে ৩৮ রান করে আউট হন মুশফিকুর। তবে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন বিশ্বকাপে দলে প্রাথমিকভাবে সুযোগ না পাওয়া মাহমুদউল্লাহ। শেষ পর্যন্ত ৪৬ রান করেন তিনি। মাত্র ৩৬ বলে তিনটি ওভার বাউন্ডারি ও তিনটি বাউন্ডারিতে তিনি এ রান করেন।
ভারতের কোনো একক বোলার বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর আধিপত্য করতে পারেনি। জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ সিরাজ ও রবিন্দ্র জাজেদা দু’টি করে উইকেট নেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















