ভারতের এশিয়া কাপের স্কোয়াড ঘোষনা,বাদ পড়লো তুখর ফর্মে থাকা জয়সওয়াল!

আজকে বিসিসিআইয়ের বোর্ড মিটিং থেকে ঘোষণা করা হয়েছে এশিয়া কাপ ২০২৫-এর জন্য ১৫ সদস্যের ভারত দলের স্কোয়াড। সেই দলের তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বেশকিছু কাঙ্ক্ষিত মুখ। কিছুদিন আগেই ভারত দল ইংল্যান্ড গিয়ে টেস্ট সিরিজ খেলেছিল। ২-২ তে ড্র হয়েছিল সেই সিরিজ। সেই সিরিজের টপ পারফর্মারও বাদ পড়েছেন এশিয়া কাপের দল থেকে।

কেননা এবার এশিয়া কাপ হবে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ভারতের ক্রিকেটের ডেকোরাম অনুসারে প্রতিটি ফরম্যাটের জন্য থাকে আলাদা পাইপলাইন। অর্থাৎ, এক ফরম্যাটে দলকে জেতানো বা নতুন মাইলস্টোন অর্জন করা প্লেয়ারও অন্য ফরম্যাটের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন।

এমন তালিকার সবার আগে থাকবে জয়সওয়াল। তিনিও ইংল্যান্ড সিরিজে দুর্দান্ত পারফর্ম করেন। এই সিরিজে ৫ ম্যাচে তিনি করেন ৪১১ রান, যার মধ্যে ছিল দুটি শতক। অথচ এমন ফর্ম থাকা সত্ত্বেও ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবেও জায়গা হয়নি তার।

তবে দলে জায়গা হয়েছে শুভমান গিলের। ইংল্যান্ডের মাটিতে পাঁচ ম্যাচের “অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার” টেস্ট সিরিজে গিল ছিলেন সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ছিলেন তিনি। অনেকগুলো রেকর্ড গড়ে ১০ ইনিংসে ৭৫.৪০ গড়ে তিনি করেন ৭৫৪ রান। অতিমানবীয় ব্যাটিংয়ে হাঁকান চারটি সেঞ্চুরি। এটাকে বলা যায় ক্যারিয়ারের পিক ফর্ম। সর্বশেষ আইসিসির জুলাই মাসের প্লেয়ার অব দ্য মান্থ খেতাব পান তিনি। তাকে করা হয়েছে ভাইস ক্যাপ্টেন।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ২১ ম্যাচ খেলে তিনি করেছেন ৫৭৮ রান, যার মধ্যে আছে একটি শতকও। ৩০ গড়ে আর প্রায় ১৪০ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন তিনি তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে।

কিন্তু বর্তমান ভারত টি-টোয়েন্টি দলের নিয়মিত ওপেনার হলেন অভিষেক শর্মা এবং সঞ্জু স্যামসন। তারা দুজনই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে অসাধারণ খেলছেন। তাদের বাদ দেওয়ার কোনো সুযোগই ছিল না টিম ম্যানেজমেন্টের। অপশন ছিল আরেকজন ব্যাকআপ ওপেনারের। সেখানে জয়সওয়াল এবং গিলের মধ্যে থেকে একজনেরই জায়গা হতে পারতো দলে। ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে সেই জায়গা পেয়েছেন গিল।

অনেক বিশ্লেষক মনে করেন, ভারত দলে ঠিক এমন প্রতিযোগিতাই তাদের ক্রিকেটকে এতদূর নিয়ে এসেছে। দলে টিকে থাকতে হলে প্রতিনিয়ত নিজেকে প্রমাণ করতে হয়। স্টারডম, অধিনায়কত্ব কিংবা আইসিসির সেরা হওয়ার পরেও আলাদা ফরম্যাটের দল থেকে বাদ পড়া সম্ভব ভারত দলে। অন্যদিকে, বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেখা যায় একজন ক্রিকেটার একটি ফরম্যাটে ভালো করলেই সেই ফরম্যাটের পাশাপাশি বাকি ফরম্যাটেও তার জায়গা পাকা হয়ে যায়। এই প্রতিযোগিতাহীনতা এবং পাইপলাইন তৈরি না হওয়ার কারণেই বাংলাদেশের এগোতে পারছে না।

Exit mobile version