গত বছরের এই দিনটি ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হতাশার দিনগুলোর একটি। আহমেদাবাদে বিশ্বকাপ ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে হেরে যায় স্বাগতিক ভারত। ২৪০ রানের সহজ লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নামা অস্ট্রেলিয়া ৭ ওভার হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে।
গ্যালারিতে ১ লাখ ৩০ হাজারের বেশি দর্শক ভারতের জয়ের আশায় মাঠে হাজির হয়েছিলেন। তবে ম্যাচের ২৯তম ওভারে বিরাট কোহলির উইকেট হারানোর সঙ্গে সঙ্গেই স্তব্ধ হয়ে যায় গ্যালারি। প্যাট কামিন্সের শর্ট লেংথের বলে ৬৩ বলে ৫৪ রান করা কোহলি বোল্ড হন। এরপর ট্রাভিস হেডের অনবদ্য ১৩৭ রানের ইনিংস ভারতের আশাভঙ্গের শেষ পেরেক ঠুকে দেয়।
ভারতীয় বোলারদের বিপক্ষে হেড ও ল্যাবুশেনের জুটি ধীরে ধীরে ম্যাচ ভারতের হাতছাড়া করে। অথচ অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের শুরুতে মাত্র ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে ছিল। কিন্তু হেডের বিধ্বংসী ইনিংস সেই চাপ উড়িয়ে দেয়।
ফাইনালের আগে ভারতের জয়ের আশায় মন্দির-মসজিদে বিশেষ প্রার্থনা চলছিল। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজে মাঠে উপস্থিত ছিলেন চ্যাম্পিয়ন দলকে অভিবাদন জানাতে। কিন্তু শিরোপা উৎসব অস্ট্রেলিয়ার হাতেই যায়।
অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স ম্যাচের আগে বলেছিলেন, ভারতের বিশাল দর্শক সমর্থনকে স্তব্ধ করতে চান। ম্যাচ শেষে সেটি বাস্তবেও করে দেখান।
ভারত অবশ্য পরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে সান্ত্বনা পেয়েছে। তবে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ ফাইনালের সেই দুঃখ ভারতের ক্রিকেটপ্রেমীরা হয়তো কখনও ভুলতে পারবেন না।