এশিয়া কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শ্রীলঙ্কা। পরপর দুবার কাপ জেতার বিষয়ে স্বপ্ন দেখছে লঙ্কানরা। অন্যদিকে পাঁচ বছর ধরে আন্তজার্তিক মঞ্চে কোন সাফল্যের মুখ দেখেনি ভারত। ২০১৮ সালে সর্বশেষ বাংলাদেশকে হারিয়ে এশিয়া কাপের ট্রফি জিতেছিল ভারত। মাঝের এই সময়টাতে বেশি কয়েকবার শিরোপার কাছে গিয়েও ছোয়া হয়নি ম্যান ইন ব্লুদের। এই পরিস্থিতিতে এশিয়া কাপের ট্রফির দাবিদার হিসেবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাঠে নামবে ভারত।
ভারত ও শ্রীলঙ্কার এশিয়া কাপের পরিসংখ্যান হিসেব করলে ব্যাটিং গড়, দলীয় সর্বোচ্চের দিক এগিয়ে আছে ভারত। অন্যদিকে বোলিং গড় ও ইকোনমিতে এগিয়ে আছে শ্রীলঙ্কা। সে হিসেবে ভারত বা শ্রীলঙ্কা যে কারো ঝুলিতেই যেতে পারে এশিয়া কাপ ২০২৩ এর ট্রফি।
এশিয়া কাপে যদি ভারতের জয় হয় তবে তা ট্রফি ক্যাবিনেটেই নতুন সংযোজন হবে না বরং এ অর্জন বিশ্বকাপের আগে ভারতকে অনেকটা আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে। ২০১৯ ও ২০২২ এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে গিয়ে আর ২০২১ এ গিয়ে ফাইনালে হারতে হয়েছে রোহিতদের।
এদিকে দলের পাশাপাশি ট্রফি সমান গুরুত্বপূর্ণ রোহিত শর্মার কাছে। ক্যাপ্টেন হিসেবে এবার তার মেয়াদ বাড়বে কি না তা নির্ধারণ হবে এবারের এশিয়া কাপ আর বিশ্বকাপ দিয়ে। ফল যদি আশানুরূপ না হয় তাহলে চলতি বছরের রোহিতকে ছাড়তে হবে দলের ক্যাপ্টেনের দায়িত্ব।
আবার ফাইনালের আগের দিন শুভমন গিল জানিয়েছেন, এশিয়া কাপের ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে হালকা ভাবে নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। বলেন, “শ্রীলঙ্কা জয়ের স্বাদ পেয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যে ভাবে জিতেছে, সেটা দুর্দান্ত। ফাইনালে ওদের হারাতে নিজেদের সেরাটা দিতে হবে। তবে শ্রীলঙ্কার পিচ অনেকটা ভারতের মতো। সেটা আমাদের সাহায্য করবে। বিশ্বকাপের জন্যও তৈরি হচ্ছি আমরা।”
অন্যদিকে দুবার এশিয়া কাপ জেতার স্বপ্নে বিভোর শ্রীলঙ্কা। দলের অধিনায়ক দাসুন শানাকা বলছেন, “বিশ্বকাপের আগে ঠিক সময়ে আমরা ওপরে রয়েছি। ছেলেরা দেশের হয়ে সেরাটা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। প্রত্যেকে নিজের সেরাটা দিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছে। পর পর দু’বার ফাইনালে ওঠা মুখের কথা নয়। সমর্থকদের থেকে অনেক বার্তা পেয়েছি।”