মাহমুদুল্লাহর বৈচিত্র্যময় টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ার

হায়দরাবাদে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের ইতি টানলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। মাঠে নামার আগেই সতীর্থদের থেকে গার্ড অব অনার এবং শুভেচ্ছা পেয়েছেন এই ৩৮ বছর বয়সী অলরাউন্ডার। তামিম ইকবালসহ সতীর্থরা তার হাতে স্মারক তুলে দেন, যা ছিল তার দীর্ঘ ১৭ বছরের টি-টোয়েন্টি যাত্রার শেষ স্মৃতি।

২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে অভিষেক হওয়া মাহমুদউল্লাহ বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। ১৪১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে রিয়াদ ব্যাট হাতে করেন ২ হাজার ৪৪৪ রান এবং বল হাতে নেন ৪১টি উইকেট। ফিল্ডার হিসেবেও সেরা ছিলেন তিনি, বাংলাদেশিদের মধ্যে সর্বাধিক ৫০টি ক্যাচ ধরেছেন রিয়াদ।

বাংলাদেশের ১৮০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাহমুদউল্লাহ মাঠে ছিলেন বেশিরভাগ ম্যাচেই। অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়ার পর ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তিনি দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৪৩টি ম্যাচে, যা বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে অধিনায়কত্ব করার রেকর্ড। তার অধীনে ১৬টি ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পেয়েছে, যা সাকিব আল হাসানের সাথে যৌথভাবে সর্বাধিক।

মাহমুদউল্লাহ ২০২১ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেন, যেখানে দল তেমন সাফল্য পায়নি। তবে তার সামগ্রিক অবদান বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অপরিসীম। ব্যাটে-বলে শেষ ম্যাচটি রাঙাতে না পারলেও, তার অর্জন ও দলের প্রতি অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

ম্যাচ শুরুর আগে বিদায়ী ম্যাচ নিয়ে কথা বলেছেন মাহমুদউল্লাহ। এমন মুহুর্ত কি আবেগের? ‘এমন প্রশ্নে তার উত্তর, ‘হ্যাঁ, এটা অবশ্যই আমার জন্য আবেগের মূহুর্ত। আমি অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। এখন মুভ অন করার সময় এবং তরুণদের জন্য আমার জায়গা ছেড়ে দেওয়ার সময়। ওয়ানডে সংস্করণেও বিবেচনার চেষ্টা করব।’

Exit mobile version