ছত্তিশগড়ের এক ছোট্ট গ্রামে বসে মুদি দোকান চালান মানিশ বিসি। প্রতিদিনের মতো দোকানে লেনদেন, ক্রেতাদের আসা-যাওয়ার ভিড়-সবকিছুই ছিল একেবারে স্বাভাবিক। হঠাৎ করেই একদিন ফোনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল অপরিচিত এক নাম-বিরাট কোহলি। প্রথমে তিনি ভেবেছিলেন, হয়তো এটা কোনো মজা কিংবা ভুল কল। কিন্তু ফোন ধরতেই ওপাশ থেকে ভেসে এল পরিচিত এক কণ্ঠ—‘হ্যালো রজত, কেমন আছো?’
মানিশ হতবাক! কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফোন আসতে শুরু করল আরও এক কিংবদন্তি ক্রিকেটারের—এবি ডি ভিলিয়ার্স। এমনকি আরও কয়েকজন পরিচিত ক্রিকেটারও তাকে ফোনে ‘রজত’ বলে ডাকতে লাগলেন। মানিশের কাছে পুরো বিষয়টা ছিল স্বপ্নের মতোন। কেননা সে নিতান্তই এক সাধারন মুদি দোকানদার। আবার অন্যদিকে মানিশ নিজেই ভিরাট-ডি ভিলিয়ার্সের অনেক বড়। ফ্যানবয় হয়ে নিজের পছন্দের তারকাদের ফোন পেয়ে দিশেহারা হয়েছিলেন তিনি।
আসলে এর পেছনে ছিল এক অদ্ভুত কাকতাল। মাসখানেক আগে মানিশ নতুন একটি সিম কার্ড কিনেছিলেন। সেটিই ছিল আগে ভারতীয় ক্রিকেটার রজত পতিদারের ব্যক্তিগত নম্বর। কোম্পানির নিয়ম অনুযায়ী ছয় মাস ব্যবহার না হওয়ায় নম্বরটি নতুন গ্রাহকের কাছে চলে যায়। ফলে হোয়াটসঅ্যাপে রজতের প্রোফাইল ছবি আর সংযোগ তালিকা থেকেই ক্রিকেট তারকারা সরাসরি কল দিয়ে ফেলেন মানিশকে।
কিছুদিন পর রজত নিজের পুরনো নম্বর ফেরত পেতে পুলিশের দ্বারস্থ হন। তদন্তে পুলিশ নম্বরটি মানিশের কাছ থেকে উদ্ধার করে ফেরত দেয় প্রকৃত মালিককে।
যদিও নম্বরটি আর নেই, তবুও মানিশের কাছে এই ঘটনাটা আজীবনের স্মৃতি হয়ে থাকবে। ক্রিকেটপ্রেমী এই মুদি দোকানদার আর তার বন্ধু খেমরাজ রজত পাটিদারের সাথে দেখা করার ইচ্ছা পোষন করে হাসিমুখে বলেন -“যদি রজত পতিদারের সাথে আমাদের দেখা হয় তবে সেদিন গল্পটা সম্পূর্ণ হবে।”
