মুশফিকের শততম টেস্ট – এই টেস্টে যা যা ঘটেছে
মুশফিকের ঐতিহাসিক টেস্ট ! যেন একের ভিতর সব! আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মিরপুরে টেস্টে রেকর্ডের ছড়াছড়ি। মুরাদের পরপর দুই উইকেট শিকারে শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়। শেষ দিনে বাংলাদেশি বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে আয়ারল্যান্ড ব্যাটাররা।

আরও খুলে বললে, মুশফিকের ঐতিহাসিক শততম টেস্টে মিরপুরে বাংলাদেশি বোলারদের ধৈর্য্যের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে আইরিশরা। পঞ্চম দিনের প্রথম সেশনে ২ উইকেট পড়লেও, দ্বিতীয় সেশন প্রায় উইকেটশূন্যই কাটিয়ে দিচ্ছিল সফরকারীরা।
কার্টিস ক্যাম্ফারের সঙ্গে গভিন হোয়েও ধীরে ধীরে হয়ে উঠছিলেন মাথাব্যথার কারণ। ম্যাচও এগোচ্ছিল ড্রয়ের পথে। তবে দ্বিতীয় সেশনের একেবারে শেষ মুহূর্তে পরপর দুই বলে দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে সব অপেক্ষার সমাপ্তি ঘটালেন হাসান মুরাদ।
সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টের পঞ্চম দিনে আয়ারল্যান্ডকে ২১৭ রানের ব্যবধানে হারালো টাইগাররা। তাতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে শেষ করলো স্বাগতিকরা। সিলেটে প্রথম ম্যাচে আইরিশদের ইনিংস ও ৪৭ রানের ব্যবধানে হারিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চতুর্থ দিন শেষেও মনে হচ্ছিল সহজে জয় তুলে নেবে বাংলাদেশ। ৫০৯ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে গতকালই ১৭৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল আয়ারল্যান্ড। ক্রিজে জাত ব্যাটার বলতে ছিলেন কার্টিস ক্যাম্ফার। কিন্তু পঞ্চম দিনে তিনি যে আঠার মতো পিচ আঁকড়ে ধরবেন সেটা হয়তো কেউই কল্পনা করতে পারেনি। তার উপর সতীর্থরাও তাকে দিয়েছে যোগ্য সঙ্গ।
আগের দিন ৪ ওভারের পর শেষ দিন আরও ১৪ ওভার সঙ্গ দেন অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন। শেষ পর্যন্ত লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে তাকে সাজঘরে ফেরান তাইজুল ইসলাম। প্রথম ইনিংসের পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ৪ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে আড়াইশ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন।
একই সঙ্গে বাঁহাতি স্পিনার হিসেবে তিনি যৌথভাবে ২৫০ উইকেটের রেকর্ড গড়েন। তার সমান ৫৭ ম্যাচে রেকর্ডটি আগে গড়েছিলেন শ্রীলঙ্কার স্পিনার রঙ্গনা হেরাথ।
ম্যাকব্রাইনের পর জর্ডান নেইল এসে ১৪ ওভার সঙ্গ দেন ক্যাম্ফারকে। শেষ পর্যন্ত তাকে বোল্ড করে ফেরান মেহেদী হাসান মিরাজ। ম্যাকব্রাইন ৫৩ বলে ৩ চারের মারে ২১ আর নেইল ৪৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় ৩০ রান করেন। এরপর ক্রিজে আসেন হোয়ে।
তিনি তো ছাড়িয়ে যান আগের দুইজনকেও। একপ্রান্ত আগলে রেখে ক্যাম্ফারও নিশ্চিত মনে ফিফটি তুলে নেন। ফিফটির পথে এগোচ্ছিলেন হোয়েও। দুজনের ব্যাটে দ্বিতীয় সেশন প্রায় উইকেটশূন্যই কাটিয়ে ফেলার পথে ছিল আইরিশরা।
যেখানে এক সেশনে খেলা হয় ১৮০ বলে সেখানে তারা প্রায় ২০০ বল মোকাবিলা করেছিল। তাতে জয় হাতছাড়া হওয়ার ছিল বাংলাদেশের। চা বিরতির আগে আর মাত্র ২-১ ওভার ছিল। তখনই সব শঙ্কা, সব অপেক্ষার অবসান ঘটান মুরাদ। তাতে জয় নিশ্চিত হয় বাংলাদেশের।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩




















