বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটিতে শুরু হয়েছে ইয়ুথ ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটের ট্রায়াল ও বাছাই পর্ব। মঙ্গলবার প্রথম দিনে সেখানে হাজির ছিলেন সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। একদিন পর, বুধবার বিশেষভাবে সক্ষম ক্রিকেটারদের খেলা দেখতে যোগ দেন অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
মাঠে যাওয়ার পথে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কের আধুনিক সুবিধাগুলো ঘুরে দেখেন মুশফিক। পরে সংবাদমাধ্যমে তিনি অকপটে স্বীকার করলেন, দেশের অন্যদের জন্য এটি চোখ-খোলার মতো একটি উদাহরণ।
মুশফিক বলেন,
“এটা (বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্ক) দেখে আমাদের সবারই লজ্জা লাগা উচিত। কারণ বাংলাদেশে ক্রিকেট তো দূরের কথা, কোনো জাতীয় দলেরই এ রকম ফ্যাসিলিটি নেই। অথচ এগুলো খুবই মৌলিক সুবিধা হওয়া উচিত। সঠিক সুবিধা ছাড়া নতুন ক্রিকেটার তৈরি করাও কঠিন হয়ে যায়।”
বর্তমানে বসুন্ধরা ক্রিকেট নেটওয়ার্কে আছে পাঁচটি সেন্টার উইকেট, ১২টি টার্ফ পিচ, অত্যাধুনিক ইনডোর সুবিধা যেখানে রয়েছে সাত লেনের অ্যাস্ট্রো টার্ফ, উন্নতমানের বোলিং মেশিন এবং ভিডিও অ্যানালাইসিস সিস্টেম। পাশাপাশি আছে জিম, সুইমিং পুল ও আইস বাথের সুযোগ।
অভিজ্ঞ এই উইকেটকিপার-ব্যাটারের আশা, বসুন্ধরার এই উদ্যোগ দেখে অন্যরাও উৎসাহিত হবে একই ধরনের সুবিধা গড়ে তুলতে—যা ভবিষ্যতে দেশের ক্রিকেটারদের উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরও বলেন,
“এই সুযোগ-সুবিধা যদি নীতি-নির্ধারকরা দেখে অনুপ্রাণিত না হন, তাহলে আফসোস ছাড়া কিছু বলার নেই। তবে এটা অবশ্যই প্রেরণাদায়ক উদ্যোগ। দেরিতে হলেও বসুন্ধরা এত বড় আকারে এগিয়ে এসেছে, সেটাই বড় ব্যাপার। আশা করি, এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার ও মানুষ উপকৃত হবে।”
খেলাধুলার উন্নয়নে বসুন্ধরার ধারাবাহিক প্রচেষ্টারও প্রশংসা করেছেন মুশফিক,
“প্রতিটি ধাপে তারা উন্নতি করছে। শেখ জামালে খেলেছি, চ্যাম্পিয়নও হয়েছি। ইশতিয়াক ভাইসহ অনেককেই কাছ থেকে চিনি। যেভাবে ধাপে ধাপে সুবিধা বাড়াচ্ছে, তাতে ভবিষ্যতে আরও অনেক কিছু যুক্ত হবে। আন্তর্জাতিক ভেন্যু হলে আমাদের ক্রিকেটাররা এখানেই সর্বোচ্চ সুবিধায় অনুশীলন করতে পারবে।”
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩

















