যা বললেন আশরাফুল
চলতি আয়ারল্যান্ড সিরিজে সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুলকে জাতীয় দলের ব্যাটিং কোচের দায়িত্ব দিয়েছে বোর্ড। আপাতত মাত্র এক সিরিজের জন্যই এই দায়িত্ব পাচ্ছেন দেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার। টাইগারদের ব্যাটিং কোচ ডেভিড হেম্পের বিদায়ের পর বিশেষজ্ঞ ব্যাটিং কোচ নিয়োগ না দিয়ে সিনিয়র সহকারি কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেই দেয়া হয়েছিল দায়িত্ব।
এ সময়ে দলের ব্যাটিং পারফরম্যান্সের হয়েছে ধারাবাহিক অবনতি। ফলে আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্য ব্যাটিং কোচ হিসেবে মোহাম্মদ আশরাফুলকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে কোচ হিসেবে ব্যাটসম্যানদের খেলার টেকনিক্যাল দিকের চেয়ে মানসিক দিক উন্নত করার দিকেই বেশি মনোযোগ দিতে চান আশরাফুল।
ব্যাটিং কোচ হিসেবে নিয়োগ পাওয়া আশরাফুল প্রায় ১১ বছর পর আবারও জাতীয় দলের ড্রেসিং রুমে ফিরছেন। ফিক্সিং কেলেঙ্কারির কারণে আট বছরের নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে তিনি ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা করেও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলোয়াড় হিসেবে ফিরে আসতে পারেননি।
এক সাক্ষাৎকারে আশরাফুল জানান, এখন তার মনোযোগ কোচিংয়ে, কারণ তিনি বিশ্বাস করেন এটি তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নতুনভাবে অবদান রাখার সুযোগ দেবে। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আসলে গত দুই বছর ধরে আমি পরিকল্পনা করছিলাম যে ক্রিকেট খেলা শেষ করার পরও আমি মাঠে থাকতে চাই এবং কোচিংয়ে আসতে চাই। আমি সুযোগ পেয়েছি ও অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি—দুই মৌসুম গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্সের সঙ্গে কাজ করেছি, এক বছর বিপিএলে ছিলাম, আর এবার এনসিএলে (ন্যাশনাল ক্রিকেট লিগ) কাজ করছি।’
এছাড়া নিজের অভিজ্ঞতা নিয়ে তিনি বলেন,‘আবারও বাংলাদেশ দলের ড্রেসিং রুমে ফিরতে পারছি, এটা আমার কাছে দারুণ অনুভূতি। আমি সেখানে ১৩ বছর খেলেছি, অনেক কোচের অধীনে খেলেছি, অনেক কিছু দেখেছি। এখন সেই অভিজ্ঞতাগুলোই আমি আমাদের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ভাগাভাগি করব।’
আমি কেন সফল হয়েছিলাম
আশরাফুলের ভাষায়, ‘আমি এখন খেলোয়াড়দের সঙ্গে কাজ করার সময় যা শেয়ার করি তা হলো—আমি কেন সফল হয়েছিলাম, আবার কেন হইনি; আমি কীভাবে ধারাবাহিক হয়েছিলাম এবং কখন সেই ধারাবাহিকতা হারিয়েছিলাম। এই খেলায় টেকনিক্যাল চেয়ে মানসিক দিকটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মন পরিষ্কার থাকলে ব্যাটিং অনেক সহজ হয়ে যায়, পারফরম্যান্সও উন্নত হয়। আমি জাতীয় দলে এই বিষয়গুলো নিয়েই কাজ করব।’
আশরাফুল জানিয়েছেন, তিনি খেলোয়াড়দের ব্যাটিং টেকনিকে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পক্ষে নন, কারণ প্রত্যেকেরই নিজস্ব খেলার ধরন থাকে, ‘না, টেকনিকে বড় পরিবর্তন আনার দরকার নেই। চন্দরপল কীভাবে খেলতেন দেখেছেন তো? ওর ভঙ্গি ছিল একেবারে আলাদা, তবুও হাজার হাজার রান করেছে। কেন? কারণ সে মানসিকভাবে শক্ত ছিল, আমি বিশ্বাস করি ক্রিকেটে যত মানসিকভাবে শক্ত হওয়া যায়, ততই ভালো খেলা যায়। আমি সেই মানসিক শক্তিটা গড়ে তুলতেই সাহায্য করতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আমরা শেষ সিরিজ বাদে চারটি সিরিজ জিতেছি। তবুও এই ফরম্যাটে আমাদের ব্যাটারদের আরও পারফর্ম করার সুযোগ আছে। আমি সেই দিকেই কাজ করব। আমি ক্রিকেটীয় শট বা টাইমিং নিয়ে কাজ করতে চাই, কারণ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বল ১৪০ কিলোমিটার বেগে আসে। তাই এখানে পাওয়ার হিটিংয়ের চেয়ে টাইমিং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি সেই বিষয়গুলোই খেলোয়াড়দের সঙ্গে শেয়ার করব।’
সাবেক এই অধিনায়ক আরও বলেন,‘সিনিয়র সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের সঙ্গে তার সম্পর্ক একদমই খারাপ নয়। তবে, তার নিয়োগের পরদিনই সালাউদ্দিন বোর্ডে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩



















