অবিশ্বাস্য এক বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় হিউস্টনের প্রেইরি ভিউ ক্রিকেট কমপ্লেক্সে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিক যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ জিতে নিয়েছে। এখন তৃতীয় ম্যাচ জিতলে বাংলাদেশকে তারা হোয়াইট ওয়াশ করবে।
গত ২১ ও ২৩ মে অনুষ্ঠিত প্রথম দুই ম্যাচে যথাক্রমে ৫ রান ও ৬ উইকেটে পরাজিত হয় বাংলাদেশ দল। কোন ম্যাচেই প্রতিপক্ষের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ তৈরি করতে পারেনি নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
প্রথম ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাটিং করা বাংলাদেশ ৬ উইকেটে ১৫৩ রান করেছিলো। জবাবে খেলতে নামা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটাররা বাংলাদেশকে কোন সুযোগ দেয়নি। বলা যায় স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের কোন পর্যায়েই মনে হয়নি বাংলাদেশ ম্যাচটি জিততে পারে। তিন বল হাতে রেখেই যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচটি জিতে নেয়।
দ্বিতীয় ম্যাচ বাংলাদেশ দল টস জিতে আগে ফিল্ডিং বেছে নেয়। লো স্কোরিং ম্যাচে ৬ উইকেটে ১৪৪ রানে তোলে যুক্তরাষ্ট্র। জবাবে খেলতে নেমে দলীয় এক রানেই গোল্ডেন ডাকের শিকার হন সৌম্য সরকার। দ্বিতীয়, তৃতীয় উইকেট জুটিতেও মনে হয়নি বাংলাদেশ এই ম্যাচটা হারতে পারে। কিন্তু ৩২ রানে অবিশ্বাস্যভাবে ছয় উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র যে আহামরী কোন বোলিং করেছে তাও নয়।
স্বাভাবিকভাবেই দলের নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাচউত্তর সংবাদ সম্মেলনে সাকিব আল হাসান জানিয়েছেন, অচেনা ভেন্যুতে প্রয়োজনীয় ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করার সুযোগ পায়নি বাংলাদেশ। ফলে অচেনা পরিবেশের কারণেই দলের এই বিপর্যয়।
প্রথম ম্যাচের পরই হতাশা প্রকাশ করেছিলেন বিসিবি কর্তারা। বোর্ডের অন্যতম পরিচালক ও বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয় বলেছেন, ‘উইকেটের বাহানা দেয়া উচিত নয় , উইকেট কখনো বাহানা হতে পারে না জাতীয় দলের তারকাদের কাজই হচ্ছে পারফর্ম করা’।
প্রধান নির্বচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু বলেছিলেন, ‘আমেরিকার বিপক্ষে এমন পরাজয় হতাশার। খুব দ্রুত দুর্বলতাগুলো কাটিয়ে উঠতে হবে , পরিবর্তন আনতে হবে’।
স্কোর কার্ড
বিশ্বকাপ ২০২৩


















